টানা চারদিন ধরে ভূমিকম্পে কাঁপছে গ্রিসের বিখ্যাত পর্যটন দ্বীপ সান্তোরিনি ও এর আশপাশের অঞ্চল। এর ফলে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ফেরির পাশাপাশি অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে দেশটির সরকার।
শুক্রবার থেকে এজিয়ান সাগরের আগ্নেয় দ্বীপ সান্তোরিনি ও আমোরগোসে একাধিক ভূকম্পন রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে, কর্তৃপক্ষ সান্তোরিনি এবং আশপাশের আইওস, আমোরগোস ও আনাফি দ্বীপের স্কুলগুলো আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে।
ইউরোপ-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারের (ইএমএসসি) তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটছে। গত সোমবার বিকেলে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটি রেকর্ড করা হয়েছে, যার মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১।
এছাড়া সোমবার প্রতি কয়েক মিনিট অন্তর সান্তোরিনিতে কয়েকটি ৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হতে থাকে। এ কারণে লোকজনকে ঘরের ভেতরে না থাকার এবং ছোট বন্দরগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। সতর্কতা হিসেবে দুর্যোগ মোকাবিলা ইউনিটগুলোকে মোতায়েন করে প্রস্তুত রাখা হয়।
সান্তোরিনি দ্বীপটি একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির ওপর অবস্থিত। তবে এই ঘটনাকে আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত না করে বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছে, গত কয়েক দিনে ৩ মাত্রার বেশি প্রায় ২০০টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।
গ্রিসের বিশিষ্ট ভূকম্পবিদ গেরাসিমোস পাপাদোপোলোস সতর্ক করে বলেছেন, বর্তমান ভূমিকম্পের ধারাবাহিকতা একটি বড় ধরনের ঘটনার ইঙ্গিত দিতে পারে। তিনি বলেন, সব আশঙ্কা এখনও উন্মুক্ত। ভূমিকম্পের সংখ্যা বেড়েছে, মাত্রা বেড়েছে ও ভূমিকম্পের কেন্দ্র উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গেছে। যদিও এগুলো টেকটোনিক ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরিজনিত নয়, তবুও ঝুঁকির মাত্রা বেড়েছে।
হেলানিক ভলকানো আর্কে অবস্থিত সান্তোরিনি নামের এ দ্বীপটি। সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প সংঘটিত হয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও প্রতি বছর দ্বীপটিতে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষ ঘুরতে যান। এছাড়া দ্বীপটির ২০ হাজার স্থায়ী বাসিন্দা রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: