দ্য টেলিগ্রাফ -এর অনলাইন প্রতিবেদন

চীন-ভারত সীমান্ত এখনো অস্থিতিশীল: জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী 

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ ১৬:৩৯

ছবি সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত

পূর্ব লাদাখ অঞ্চলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর এখনও চীনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় সেনাদের অচলাবস্থা চলছে বলে জানালেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। তিনি বলেছেন, সীমান্তের পরিস্থিতি সংবেদনশীল হলেও কিছুটা অস্থিতিশীলতা রয়েছে। সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা কমাতে একাধিক বৈঠক করেছে ভারত।

দেশটির সরকারি মন্ত্রীরা দাবি করেছে যে সীমান্তে তারা স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে ২০২০ সালে চীন ও ভারত যে চুক্তি করেছিল সেটাই পুনপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। তবে দ্বিবেদীর মন্তব্য অনুযায়ী পূর্ব লাদাখে এখনও সীমান্ত অস্থিতিশীলতা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন। 

এতে বলা হয়, ভারতের সেনাপ্রধান বলেছেন-পূর্ব লাদাখে এখনও কিছুটা অচলাবস্থা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি আগের মতো উত্তপ্ত না। ১৫ জানুয়ারি সেনা দিবস উদযাপনের আগে বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন দ্বিবেদী। তিনি বলেন, ডেমচক এবং ডেপসাং সমভূমিতে টহল এবং গবাদি পশুর বিচরণ শুরু হলেও দুই সীমান্তরক্ষীর মধ্যে আস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা প্রয়োজন। কেননা অক্টোবরে উভয় পক্ষই সীমান্তে উত্তেজনায় জড়িয়েছিল।

২০২০ সালের মে মাসে চীনের বিরুদ্ধে লাদাখে ভারতের দাবিকৃত প্রায় ১ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল দখলে নেয়ার অভিযোগ করে দিল্লি। এরপর দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। যার অবসান হয় গত বছরের অক্টোবরে। ২১ অক্টোবর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, পূর্ব লাদাখ অঞ্চলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল ব্যবস্থায় পৌঁছেছে দুই দেশ। 

এর ফলে ডেপসাং সমভূমি এবং ডেমচক থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। সেসময় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্মেলনের সাইডলাইনে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের মাত্র একদিন আগে ওই ঘোষণা দিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, ওই চুক্তির মাধ্যমে তারা পুনরায় ২০২০ সালে করা চুক্তিতেই ফিরে গিয়েছে ভারত। যার ফলে চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষ করেছে নয়াদিল্লি। 

তবে বর্তমান পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করে দ্বিবেদী বলছেন, এখনই ওই অঞ্চল থেকে সৈন্য কমানোর প্রয়োজন নেই। কেননা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক নয়। এক্ষেত্রে সীমান্তে অবকাঠামো এবং সক্ষমতা উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশের কথা জানিয়েছেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: