হামাসের সঙ্গে জিম্মি বিনিময় নিয়ে কিছুটা অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের অধিবেশনে আইনপ্রণেতাদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিম্মিদের মুক্তির আলোচনা আগ্রগতি হচ্ছে। তার সবকিছু আমি এখানে বলতে পারব না, তবে পার্লামেন্টে আমি এ কথা বলতে পারি আমরা সকল পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
গাজায় জিম্মি চুক্তির বিষয়ে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে দাবি করে নেতানিয়াহু বলেন, ‘মূলত ৩টি বিষয়ের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে-হামাসের সাবেক রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়া, ইরান এবং হিজবুল্লাহর কাছ থেকে প্রত্যাশিত সমর্থন না পাওয়া এবং গাজায় চলমান সামরিক অভিযান।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে আমি খুবই সতর্কতার সঙ্গে বলব যে এই অবস্থা কতদিন থাকবে সে সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। সব জিম্মিরা শত্রু এলাকা থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে।’
ইসরাইলের সূত্রগুলো বলছে, হামাসের সঙ্গে দুই পর্বের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য চেষ্টা করছে তেল আবিব। প্রথম পর্বে হামাস সব নারী, বয়স্ক এবং আহত জিম্মিদের মুক্তি দেবে এবং দ্বিতীয় পর্বে বাদবাকি অন্যান্যদের মুক্তি দেয়ার পর যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে এবং গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করে নেয়া হবে।
সম্প্রতি একজন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি আলোচনা এরইমধ্যে ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। যদিও কিছু মূল বিষয়ে আলোচনা এখনও বাকি আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিশরের সীমান্ত বরাবর দক্ষিণ গাজার কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ড ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরাইলি সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত রাখা অন্যতম প্রধান সমস্যা। ওই কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজার সঙ্গে ইসরাইলের সীমান্তে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় একটি বাফার জোন তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। ইসরাইল এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে। এসব বিষয় সমাধান হলেই তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কয়েকদিনের মধ্যে হতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: