সিরিয়াকে ইরান থেকে বিচ্ছিন্ন করতে যুক্তরাষ্ট্র-ইউএই’র পদক্ষেপ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সিরিয়াকে ইরান থেকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা হিসেবে বাশার আল-আসাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে। ২ ডিসেম্বর সোমবার মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইরান থেকে সিরিয়াকে দূরে সরিয়ে নেয়া এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র পাঠনোর পথ বন্ধ করে দেয়ার লক্ষে এ আলোচনা বলে জানা গেছে।

সিরিয়ার উপর দেয়া আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা ২০ ডিসেম্বর শেষ হতে যাচ্ছে।

এদিকে পশ্চিম এশিয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি বিশেষ করে সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থান এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ইরান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সিরিয়ায় সংক্ষিপ্ত সফর শেষে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে সোমবার তুরস্কের রাজধানী আংকারায় পৌঁছান। সেখানে তিনি তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সাথে বৈঠক করেন।

বৈঠকে আরাকচি বলেন, সিরিয়া পরিস্থিতি বিশেষ করে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসীদের পুনরুত্থানের ঘটনায় আঞ্চলিক দেশগুলোর অভিন্ন উদ্বেগ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিশেষ করে ইরান ও সিরিয়ার ভেতরে সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি।

ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিম এশিয়ার চলমান স্পর্শকাতর পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে আমেরিকান সমর্থিত ইসরাইল।

তিনি সুস্পষ্ট করে বলেন, সিরিয়ায় সম্প্রতি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলো যে তাণ্ডব শুরু করেছে এবং দেশটির ভেতরে অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে তা ইহুদিবাদী ইসরাইলের লক্ষ্য অর্জনের সাথে সম্পর্কযুক্ত।

লেবাননে ইসরাইলের দফায় দফায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আব্বাস আরাকচি বলেন, সমস্ত মুসলিম এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর উচিত ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ইরান ও তুরস্ক পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ২০২৫ সালের শুরুর দিকে দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা পরিষদের শীর্ষ পর্যায়ের নবম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা জোরদার করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একই সাথে তিনি সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ের কথাও বলেন।

হাকান ফিদান সিরিয়ার চলমান নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সম্ভাব্য বিপর্যয়কর পরিণতির বিষয়ে আঞ্চলিক দেশগুলোকে সতর্ক করেন।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: