ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সৈন্য সহায়তা দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া; যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের এমন দাবি বহু পুরনো। এবার কোথায় কত সৈন্য মোতায়েন করেছে উত্তর কোরিয়া সেই সংখ্যাও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, রাশিয়ায় বর্তমানে ১০ হাজার উত্তর কোরিয়ার সৈন্য রয়েছে। যার মধ্যে ৮ হাজার সৈন্য কুরস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও এই সৈন্যরা এখনও ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিয়োজিত হয়নি, তবে আগামী দিনে তাদের জড়িত হওয়ার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জে. অস্টিন তৃতীয়, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী চো তাই-ইউল এবং কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউনের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন এই মন্তব্য করেন।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমরা এখন মূল্যায়ন করছি যে রাশিয়ায় প্রায় ১০ হাজার উত্তর কোরিয়ার সৈন্য রয়েছে। এবং সাম্প্রতিক তথ্য ইঙ্গিত করে যে উত্তর কোরিয়ার ৮ হাজার বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা এখনও এই সেনাদের মোতায়েন করতে দেখিনি। কিন্তু আমরা আশা করি আগামী দিনে তা ঘটবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়া গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া (ডিপিআরকে) সৈন্যদের আর্টিলারি, ইউএভি এবং মৌলিক পদাতিক অপারেশনে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, যা ইঙ্গিত করে যে তারা এই বাহিনীকে সামনের সারির অপারেশনে ব্যবহার করতে সম্পূর্ণভাবে ইচ্ছুক। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অভিযান সমর্থন করলে তারা বৈধ সামরিক হয়ে উঠবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ানদের একটি মাংস চূর্ণকারী যন্ত্রে নিক্ষেপ করছেন এবং এখন উত্তর কোরিয়ার দিকে ঝুঁকছেন যা দুর্বলতার স্পষ্ট লক্ষণ। রাশিয়া যে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের দিকে ঝুঁকছে তার একটি কারণ হল তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
ব্লিঙ্কেন যোগ করেন, ‘রাশিয়া প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজার হতাহতের শিকার হচ্ছে। আর উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে রাশিয়া তার দেশে গত ১০০ বছরের মধ্যে প্রথম বিদেশী সৈন্যদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: