নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরা নিয়ে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ ‘বিরক্ত করবে না’ বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশেকিয়ান। নারীদের পোশাক কোড ভঙ্গের দায়ে এখনও সহিংস শাস্তি দেয়া হচ্ছে জানিয়ে জাতিসংঘের সতর্কতার পর ইরানের সংস্কারপন্থি প্রেসিডেন্টের এ মন্তব্য এল।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পুলিশের হেফাজতে নিহত মাহসা আমিনির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১৬ সেপ্টেম্বর, সোমবার একথা বলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান।
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ২০২২ সালে ২২ বছর বয়সি মাহসা আমিনিকে ইরানি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল এবং পরে পুলিশের হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় দেশব্যাপী নজিরবিহীন বিক্ষোভ হয়।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইরানের সরকার সেই সময় থেকেই নারীদের অধিকারকে দমন করতে এবং প্রতিবাদ-বিক্ষোভের শেষ নিদর্শনকে গুঁড়িয়ে দেয়ার জন্য ‘তীব্র প্রচেষ্টা’ চালিয়েছে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পেজেশকিয়ান। তাকে দেশটির সম্ভাব্য সংস্কারবাদী নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বিবিসি বলছে, ইরানের একজন নারী সাংবাদিক একটি সংবাদ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য পুলিশ ভ্যান এড়াতে বেশ কয়েকটি পথ ঘুরতে হয়েছে তাকে। ওই নারী সাংবাদিক মাথার স্কার্ফ পরা ছিল এবং তার কিছু চুলও দেখা যাচ্ছিল।
তখন ওই নারী প্রতিবেদকের কাছে পেজেশকিয়ান জানতে চান, পুলিশ এখনও রাস্তায় রয়েছে কিনা? জবাবে নারী প্রতিবেদক নিশ্চিত করেন যে পুলিশ রয়েছে।
জবাবে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, নৈতিকতা পুলিশদের নারীদের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল না। তারা যাতে আর নারীদের বিরক্ত না করে বিষয়টি আমি দেখব।
পেজেকশিয়ানের মন্তব্যটি ইরানের গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এছাড়া নারী সাংবাদিকের সঙ্গে তার কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: