ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক; ‘মিক্সড মার্শাল আর্ট’ নিষিদ্ধ করল আফগানিস্তান

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩০ আগস্ট ২০২৪ ১৩:৪৫

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

মিক্সড মার্শাল আর্ট (এমএমএ) ইসলামিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় দাবি করে এই অনুশীলনকে নিষিদ্ধ করেছে আফগানিস্তান। দেশটির শাসকগোষ্ঠী তালেবানের এক ক্রীড়া কর্মকর্তা স্থানীয় সম্প্রচারমাধ্যম টোলো নিউজকে বলেছেন, এমএমএ খুব হিংস্র খেলা এবং এটি মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি করে।

২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, পাপ প্রতিরোধ এবং পুণ্য প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এমএমএ খেলা নিষিদ্ধের আদেশটি পাস করেছে। ইসলামিক আইন বা শরিয়ার আইনে খেলাধুলার সম্মতি নিয়ে তদন্তের পর নতুন সিদ্ধান্ত আসে।

এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তালেবানের শারীরিক শিক্ষা এবং ক্রীড়া বিষয়ক মহাসচিব বলেছেন, ‘আমরা দেখেছি, খেলাটি শরিয়ার ক্ষেত্রে সমস্যাযুক্ত এবং এর অনেক দিক রয়েছে যা ইসলামের শিক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

বিবিসি জানিয়েছে, সদ্য নিষিদ্ধ মিক্সড মার্শাল আর্ট আফগানিস্তানের তরুণদের মাঝে একটি জনপ্রিয় খেলা। ২০২১ সালে তালেবান গোষ্ঠী ক্ষমতায় ফিরে আসার আগের দুই দশকে এই খেলাটি আফগানিস্তানে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০০৮ সালে দেশটিতে মিক্সড মার্শাল আর্ট ফেডারেশনও প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আফগানিস্তান ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপ (এএফসি) এবং ট্রুলি গ্র্যান্ড ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপে (টিজিএফসি) দেশটির কয়েক ডজন খেলোয়াড় লড়াই করেছে।

তালেবানেরা ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০২১ সালে ‘মুখে ঘুষি মারা’ নিষিদ্ধ আইন প্রবর্তন করার পরই মূলত চাপে পড়েছিল মিক্সড মার্শাল আর্ট। সে সময় এই খেলাটির কিছু খেলোয়াড় তালেবান কর্মকর্তাদের কাছ থেকে হুমকি ও হয়রানির শিকারও হয়েছিলেন।

তবে তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তালেবান কর্তৃপক্ষ এই খেলাটির বিষয়ে নমনীয় অবস্থানও দেখিয়েছে। যেমন—২০২২ সালে আফগানিস্তানের খেলোয়াড় আহমাদ ওয়ালি হোতাক একটি আসন্ন আন্তর্জাতিক লড়াইয়ের ঘোষণা দিতে রাজধানী কাবুলে সংবাদ সম্মেলন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ওই খেলায় তিনি পরে বিজয়ী হয়েছিলেন। আফগানিস্তানে ফিরে যাওয়ার পর সরকারি ব্যক্তিত্বরা তাঁর সঙ্গে ছবিও তুলেছিলেন।

জানা গেছে, বর্তমানে মিক্সড মার্শাল আর্ট খেলাটির সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ আফগান ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। প্যারিস অলিম্পিকে জাতীয় এবং শরণার্থী দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১১ আফগানের মধ্যে চারজনই মূলত মার্শাল আর্ট ক্রীড়াবিদ ছিলেন। তবে প্রাথমিক নিরাপত্তার কারণে মিক্সড মার্শাল আর্ট এখনো আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি কর্তৃক স্বীকৃত হয়নি।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: