আল-আকসা ‘ভাঙচুরে’ সেটলারদের অর্থ দেবে ইসরায়েল সরকার

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ আগস্ট ২০২৪ ১৪:৩৯

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

জেরুসালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদে ‘ভাঙচুরের’ জন্য সেটলার তথা অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের অর্থ দেবে ইসরায়েল সরকার। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ২৬ আগস্ট সোমবার। ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম কেএএনের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

কেএএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের ঐতিহ্য বিষয়ক মন্ত্রী আমিখাই এলিয়াহুর মন্ত্রণালয় সেটলারদের ২০ লাখ ইসরায়েলি শেকেল বা ৫ লাখ ৪৫ হাজার ডলার দেবে। যাতে তারা আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে ভাঙচুর চালাতে পারে। এখনই এই প্রকল্প চালু হয়নি। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি চালু হয়ে যাবে।

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ও কট্টর ফিলিস্তিন বিদ্বেষী ইতামার বেন গভিরের সঙ্গে এই মন্ত্রীরও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। ইতামার বেন গভিরকে আমিখাই এলিয়াহু অনুরোধ করেছেন যেন, তিনি সেটলারদের জেরুসালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদে যাওয়ার বিষয়টির অনুমোদন পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে দেন।

সরাসরি ভাঙচুর নয় মূলত, ইসরায়েলি সরকারের অর্থায়নে সেটলাররা আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সের পশ্চিম দেওয়ালে অবস্থিত প্রার্থনাস্থলে যেতে পারবেন। যদিও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে ভাঙচুর শব্দটি সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, তবে দীর্ঘদিনের স্থিতাবস্থা ভেঙে যদি ইসরায়েলি ইহুদিরা সেখানে যায়, তবে সেখানে সাংঘর্ষিক অবস্থা তৈরি হবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এ ছাড়া, কট্টর ইসরায়েলি ইহুদিরা অনেক দিন থেকেই আল-আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে নিজেদের মাউন্ট টেম্পল তৈরির স্বপ্ন দেখছেন।

এর আগে, সোমবার ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির জেরুসালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদের জায়গায় ইহুদি উপাসনালয় তৈরির আহ্বান জানান। আর এর প্রতিক্রিয়ায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ ধরনের আহ্বান এই অঞ্চলে আবারও একটি ধর্মযুদ্ধ শুরু করে দিতে পারে, যা পুরো অঞ্চলকে জ্বালিয়ে দেবে।

তামার বেন গভিরের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সের পশ্চিম দেওয়ালের কাছে একটি সিনাগগ তৈরির পক্ষে কি না? এ সময় তিনি জবাব দেন, হ্যাঁ, হ্যাঁ এবং হ্যাঁ। তাঁর এই মন্তব্য ফিলিস্তিন তো বটেই ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায়ও ক্ষোভের জন্ম দেয়।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: