গাজায় হামাসের রাফা বিভাগ পরাজিত হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট। পাশাপাশি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লেবানন সীমান্তে ইসরাইলের সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২১ আগস্ট) গাজা-মিশর সীমান্ত বরাবর অবস্থিত ফিলাডেলফি করিডোর পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন গালান্ট।
এদিন একটি ফিলিস্তিনি ভবনে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা এবং কমান্ডারদের দ্বারা পরিবেষ্টিত অবস্থায় গালান্টের একটি ছবি প্রকাশ করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ভনবনটি ইসরাইলি সেনারা দখল করে তাদের সদর দফতরে রূপান্তরিত করেছে।
গালান্ট বলেন, ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ১৬২ ডিভিশন হামাসের রাফাহ ডিভিশনকে পরাজিত করেছে। গাজার দক্ষিণতম শহরে হামলা চালিয়ে আইডিএফ ১৫০টি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করেছে।
তবে এখনও অল্প কিছু সুড়ঙ্গ অক্ষত রয়েছে জানিয়ে সেগুলোও ধ্বংস করার তাৎক্ষণিক নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মে মাসে দক্ষিণ গাজার শহর রাফায় একটি বড় স্থল আক্রমণ শুরু করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এর আগে ওই অঞ্চলটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে মনোনীত ছিল। দশ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল।
সম্প্রতি ইসরাইলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, গাজায় সম্ভাব্য বেশিরভাগ (হামাসের) সামরিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করা হয়েছে।
এ কারণেই ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এখন তার লক্ষ্য পরিবর্তন করছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন গালান্ট।
তিনি বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে, কৌশলগত দিক থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হামাস এবং পণবন্দীদের বিষয়ে যুদ্ধের সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করা। আর এখন উত্তরের দিকে (লেবানন) তাকানোই বড় লক্ষ্য।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলের হামলা করার সময় থেকেই হামলা শুরু করেছে হিজবুল্লাহ। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে গুলি বিনিময় চলছে। তবে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সাথে লড়াই সম্প্রতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তা একটি পূর্ণ যুদ্ধের রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিজবুল্লাহ হামাসের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তাদের সাথে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হলে ইরানও তাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে তারাও ইসরাইল ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। সর্বোপরি, এটি একটি বড় পর্যায়ের আঞ্চলিক যুদ্ধের রূপ নিতে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: