হামাসের নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৫ আগস্ট ২০২৪ ১০:৫৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ইরানের রাজধানী তেহরানে গত সপ্তাহে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পরে ইরানে ও কাতারে আনুষ্ঠানিকতা শেষে কাতারের লুসাইল রয়্যাল কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এরপরই নিজেদের নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে হামাস। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনটি এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর নিজেদের আন্দোলনের নতুন নেতা নির্বাচনের জন্য বিস্তৃত পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। হানিয়া

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ছিলেন। তার ডেপুটি সালেহ আল-আরৌরি গত জানুয়ারিতে বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় নিহত হন। তিনি বেঁচে থাকলে হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের পর তিনিই স্বয়ংক্রিয়ভাবে হামাস প্রধান পদে প্রতিস্থাপন হতেন।

প্রধান পরামর্শক সংস্থা শূরা কাউন্সিলের বৈঠকের পর হামাসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার মধ্য থেকে কেউ হানিয়াকে প্রতিস্থাপন করতে পারেন। গত বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে গুপ্তহত্যার শিকান হন ইসমাইল হানিয়া। এর আগের দিন তিনি ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুজ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে যান।

অনুষ্ঠান শেষে তেহরানের একটি গেস্ট হাউজে ওঠেন হানিয়া। সেখানেই আগে থেকে রাখা বোমা বিস্ফোরণে এক দেহরক্ষীসহ নিহত হন তিনি। বৃহস্পতিবার তেহরানে ইসমাইল হানিয়ার প্রথম নামাজে জানাজা হয়। এতে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ বহনকারী কফিন তেহরানের রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। পরদিন শুক্রবার কাতারের সবচেয়ে বড় মসজিদ ইমাম মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব মসজিদে হামাস প্রধানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। হানিয়ার নামাজে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন হামাসের উচ্চপদস্থ নেতারা। যার মধ্যে ছিলেন খালিদ মেশালও। তিনি হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে আবারো নতুন করে সঙ্ঘাত সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইরান ইতোমধ্যে হুমকি দিয়েছে তারা হানিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে সরাসরি ইসরাইলে আঘাত হানবে। এমন আশঙ্কা থেকে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে ইসরাইল। এ ছাড়া বিশ্বের অনেক বিমান সংস্থা ইসরাইলের তেল আবিবে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: