ইরান থেকে কাতারে নেওয়া হয়েছে তেহরানে হামলায় নিহত হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার মরদেহ। ২ আগষ্ট, শুক্রবার রাজধানী দোহায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাঁকে লুসাইলে দাফন করা হবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছায় হানিয়ার মরদেহ। এসময় মরদেহবাহী কফিন গ্রহণ করেন হামাসের সাবেক নেতা খালেদ মেশালসহ সংগঠনের কর্মীরা।
এর আগে ইরানের তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নেতৃত্বে হানিয়ার প্রথম জানাজা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানসহ অনেকে। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তেহরানের রাস্তায় প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ শোক মিছিল হয়। হামাস নেতার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলছে ইরানে।
এদিকে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ইসমাইল হানিয়া ইরানের রাজধানী তেহরানের যে গেস্টহাউসে অবস্থান করছিলেন সেখানে দুই মাস আগে একটি বোমা লুকিয়ে রাখা ছিল। এরপর হানিয়া যখন মঙ্গলবার সেখানে যান তখন রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
গেস্টহাউসটি ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) ছিল। সেখানে চোরাই পথে বোমা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
আইআরজিসির দুই কর্মকর্তা জানান, ২০২০ সালে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাকরিজাদেহকে নিখুঁতভাবে রিমোট কন্ট্রোল মেশিনগান দিয়ে যেভাবে হত্যা করেছিল, ইসমাইল হানিয়াকে সেই একই উপায়ে হত্যা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরানে যান ইসমাইল হানিয়া। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিনের শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। এরপর ওইদিন স্থানীয় সময় রাত ২টা নাগাদ হত্যার শিকার হন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হানিয়া। এ সময় তাঁর এক দেহরক্ষীও নিহত হন।
হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। গতকাল বুধবার ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে খামেনি ইসরায়েলে হামলার এই নির্দেশ দেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: