দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি স্কুলের বাইরে স্থাপিত তাঁবুতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আশ্রয় নেওয়া ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ওই অঞ্চলের সরকারি মিডিয়া অফিস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ১০ জুলাই, বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এদিকে ইসরায়েল খান ইউনিস এবং গাজা শহরের কিছু অংশ থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে নতুন করে আদেশ জারি করেছ। এরপর হাজার হাজার মানুষ ওই এলাকা থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে। এ ছাড়া এই অঞ্চলে প্রধান তিনটি হাসপাতালও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় হাসপাতালের মেঝেতে বেশ কয়েকজন শিশুসহ বেশ কয়েকজন মৃত ও গুরুতর আহত ব্যক্তি পড়ে আছেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ‘হামাসের সামরিক শাখার সন্ত্রাসীদের’ লক্ষ্য করে ‘নির্দিষ্ট যুদ্ধাস্ত্র’ ব্যবহার করেছে।
তাদের দাবি, আল-আওদা স্কুল সংলগ্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত বেসামরিক লোকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে যে প্রতিবেদনগুলো পাওয়া যাচ্ছে, তারা সেগুলো খতিয়ে দেখছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আবাসান আল-কাবিরা এবং পূর্বাঞ্চলীয় খান ইউনিসের অন্যান্য এলাকা থেকে বেসামরিক লোকদের সরে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহ পর এই হামলা ও হতাহতের ঘটনাটি ঘটেছে। হামলার পর আহতদের নাসের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
মূলত খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রামগুলো থেকে বাস্তুচ্যুত বহু মানুষ আল-আওদা স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। হামলার ফলে সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এবং নারী ও শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল এবং স্কুলের বাইরে তাঁবুতে থাকা বহু মানুষ আহত হয়েছেন। গত চার দিনে এটি নিয়ে চতুর্থবারের মতো বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থলে হামলা হয়েছে।
এদিকে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ হাজার ২৪০ জনে পৌঁছেছে বলে অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
সূত্র : আলজাজিরা,বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: