স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির দাবি বহু দিনের। জাতিসংঘের বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশকিছু দেশে এখনো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে মানে না।
২০১২ সাল থেকে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের অ-সদস্য পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা পাচ্ছে। জাতিসংঘে বারবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির প্রস্তাব উঠলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে তা খারিজ হয়ে যায়। সম্প্রতি আবারও ফিলিস্তিনকে পূর্ণাঙ্গ সদস্য করার একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। জাতিসংঘের উত্থাপিত এই প্রস্তাবে ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪২টি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে ভোট দেয়।
এশিয়া ও আফ্রিকার বেশিরভাগ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আগেই স্বীকৃতি দিয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা ও নৃশংসতার প্রতিবাদে নতুন করে আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছে। নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন এরই মধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগেও ইউরোপের আরও ৬টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেনের ঘোষণার পর এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০টি তে। এর আগে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ইউরোপের দেশগুলো হলো- সুইডেন, বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া এবং চেকোস্লোাভাকিয়া। এর মধ্যে সুইডেনই প্রথম ইইউ-ভুক্ত দেশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়। নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড ও স্পেনের আগেই ইউরোপের অন্তত ৯টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে।
স্লোভেনিয়া, মালটা ও বেলজিয়ামের মতো কয়েকটি দেশ কখন ও কিভাবে স্বীকৃতি দেয়া যায় সে ব্যাপারে আলোচনা শুরু করেছে। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক নৃশংসতার পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়াও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বেপারে ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছে।
৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর সম্প্রতি ইউরোপজুড়ে গাজাবাসী তথা ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: