তুরস্কে বিরোধীদলীয় নেতার ৪২ বছরের কারাদণ্ড

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৮ মে ২০২৪ ১৩:৪৭

তুরস্কের কুর্দিপন্থী দল এইচডিপির নেতা সালাহাত্তিন দেমিরতাস : সংগৃহীত ছবি তুরস্কের কুর্দিপন্থী দল এইচডিপির নেতা সালাহাত্তিন দেমিরতাস : সংগৃহীত ছবি

তুরস্কের কুর্দিপন্থী দল এইচডিপির নেতা সালাহাত্তিন দেমিরতাসকে ৪২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। ৫১ বছর বয়সী এই নেতাকে ২০১৪ সালে একটি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। ১৬ মে, বৃহস্পতিবারের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছেন দেমিরতাস। খবর ডয়েচে ভেলে ও পার্স টুডের।

তুরস্কের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ‘কুবানি মামলা’য় পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি বা এইচডিপির নেতা সালাহাত্তিন দেমিরতাসসহ ১০৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে সালাহাত্তিনকেই সর্বোচ্চ ৪২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও ফিগেন ইয়ুকসেকদাগ নামে আরেক কুর্দি নেতাকে ৩০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সহিংসতা, ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রীয় সংহতির বিরুদ্ধাচরণ এবং সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকাসহ মোট ৪৭টি অভিযোগে সালাহাত্তিনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তিনি যদি আপিলে হেরে যান, তবে সম্ভবত কারাগারেই মৃত্যুবরণ করতে হবে এই কুর্দি নেতাকে।

২০১৪ সালে তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরের কুবানি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিরীয় কুর্দি জনগোষ্ঠী এবং আইএস জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় তুর্কি সেনারাও সীমান্ত থেকে কুর্দিদের দিকে গুলি চালায়। এমনকি আইএস জঙ্গিরা কুবানি শহর অবরুদ্ধ করে ফেললে কুর্দি বাসিন্দাদের শহর ছেড়ে পালাতেও দেয়নি তুর্কি সেনাবাহিনী।

তুর্কি সেনাদের এমন অবস্থানের বিরুদ্ধে রাজধানী আঙ্কারায় বিক্ষোভের ডাক দেন কুর্দিপন্থী নেতা সালাহাত্তিন দেমিরতাস এবং দ্রুতই ওই বিক্ষোভ সহিংস আকার নেয় ও তাতে নিহত হন অন্তত ৩৭ জন।

আঙ্কারায় বিক্ষোভের দুই মাস আগে অনুষ্ঠিত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন দেমিরতাস। ভোটে তৃতীয় অবস্থানে থাকা এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ২০১৮ সালের নির্বাচনেও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

দেমিরতাসের দাবি, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই তার বিরুদ্ধে কুবানি মামলা দায়ের করেছে। ২০১৬ সাল থেকেই কারাবন্দি অবস্থায় রয়েছেন কুর্দি নেতা সালাহাত্তিন দেমিরতাস।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: