ফের ভেঙে দেওয়া হলো উপসাগরীয় দেশ কুয়েতের পার্লামেন্ট। দেশটির আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-সাবাহ ১০ মে শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে এই ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে দেশটির সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদও স্থগিত ঘোষণা করেছেন আমির। খবর আল জাজিরা ও রয়টার্সের।
কুয়েতে সদ্য বিদায়ী মাস এপ্রিলেই দেশটির ৫০ সদস্যের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এই নির্বাচন আমির শেখ মেশালের অধীনে প্রথম নির্বাচন। গত ডিসেম্বরে আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন ৮৩ বছর বয়সী শেখ মেশাল।
পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণায় কুয়েতের আমির বলেন, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হলো। কুয়েত সম্প্রতি কিছু কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে... যার ফলে দেশকে বাঁচাতে এবং দেশের সর্বোচ্চ স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্যই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব বা দ্বিধার সুযোগ নেই।
এছাড়াও আমির সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদ আগামী চার বছরের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে দেশকে আরও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হবে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর দেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ক্ষমতা আমির ও মন্ত্রিসভার হাতে থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে কয়েক দশক ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে একাধিকবার পার্লামেন্টও ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বারবার রদবদল ঘটেছে মন্ত্রিসভায়।
উপসাগরীয় অন্যান্য রাজতন্ত্রের দেশগুলোর আইনসভার চেয়ে কুয়েতের আইনসভা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা বেশিই প্রভাব বিস্তার করে থাকে। আর এ নিয়ে রাজকীয় মন্ত্রিসভার সঙ্গে পার্লামেন্টের দ্বন্দ্ব লেগেই আছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: