লাতিন আমেরিকার দেশ গায়ানার একটি স্কুলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৯ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ঘটে। আগুন দেওয়ার জন্য এক ছাত্রী দায়ী বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ছাত্রী স্কুলের ডরমেটরিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
২২ মে, সোমবার ভোরে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এতে নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছাত্রী। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ডরমেটরিটি তালাবদ্ধ এবং জানালা ঘেরা ছিল। আগুন লাগার পর শিক্ষার্থীরা সেখানে আটকে পড়ে।
সন্দেহভাজন কিশোরী দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডরমেটরিতে আগুন লাগানোর সে স্বীকার করেছে বলে বিবিসির খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক সরকারি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হবে কিনা তা সম্পর্কে পরামর্শ করছে কর্তৃপক্ষ।
ডরমেটরির বাথরুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। ভবনটির একাংশ কাঠ দিয়ে তৈরি। অগ্নিকাণ্ডের সময় ৫৭জন শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান করছিল। বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থীরা বলেছেন, মধ্যরাতে চিৎকারে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। তখন তারা আগুন দেখতে পায়।
বার্তা সংস্থা এপি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ছাত্রীকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়।
এক বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জন্য এক ছাত্রী দায়ী বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার কারণে সে আগুন দেয়।
জানা গেছে, ডরমেটরির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা আতঙ্কে দরজার লাগানো তালার চাবি খুঁজে পাননি। আগুনে তার পাঁচ বছর বয়সী এক ছেলেও মারা গেছে।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের বেশিরভাগ আদিবাসী মেয়ে। আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। আহতদের রাজধানী জর্জটাউনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, দগ্ধদের অবস্থা এত মারাত্মক ছিল যে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা প্রয়োজন।
প্রেসিডেন্ট ইরফান আলি এই ঘটনাকে একটি বড় দুর্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সূত্র : বিবিসি / এএফপি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: