ইসরায়েলের গণহত্যা নিয়ে তদন্ত করায় জাতিসংঘের কর্মকর্তাকে হুমকি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ মার্চ ২০২৪ ২১:২৫

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের নির্মম গণহত্যার তদন্ত শেষে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন সংস্থাটির বিশেষজ্ঞ ফ্রান্সিসকা আলবানিজ। আর এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর থেকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। হুমকির বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ এই কর্মকর্তা। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতিসংঘের র‌্যাপোটিয়ার ফ্রান্সিসকা আলবানিজ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের চালানো গণহত্যা নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার পর থেকেই তিনি হুমকি পাচ্ছেন। তবে, কাদের থেকে হুমকি পাচ্ছেন, তা প্রকাশ করেননি তিনি। জানান, যতই হুমকি দেওয়া হোক, নিজের অবস্থান থেকে সরে আসবেন না।

এর আগে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে ‘দ্য অ্যানাটমি অব আ জেনোসাইড’ নামের একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোটিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ। তিনি বলেন, মানবতার সবচেয়ে খারাপ অবস্থার বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা এবং প্রাপ্ত ফলাফলগুলো উপস্থাপন করা তার দায়িত্ব। গাজায় একটি গোষ্ঠী হিসেবে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অপরাধের সীমা পূরণ করা হয়েছে বলে তিনি দেখতে পেয়েছেন।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান আলবানিজ। বলেন, সদস্য দেশগুলোকে মানবাধিকার কমিশনের বাধ্যবাধকতা মেনে চলা উচিত। ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র ও অন্য নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে তা মেনে চলা সম্ভব। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তাই এটাই প্রয়োজন। ফ্রান্সেসকার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। তবে, একে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন।

গেল সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যকার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

কিছুদিন ধরেই গাজার রাফাহ সীমান্তে হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে আসছে ইসরায়েল। তবে এতে আপত্তি আমেরিকার। এ নিয়ে আলোচনা করতে চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফর করার কথা ছিল ইসরায়েলের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরত থাকার পর এ সফর বাতিল করেছেন নেতানিয়াহু।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: