নাইজেরিয়ার আরো একটি গ্রাম থেকে ৮৭ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বন্দুকধারীরা। স্থানীয় পুলিশ ও গ্রামবাসী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতেই একটি বিদ্যালয় থেকে ২৮৬ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বন্দুকধারীরা।
এই অপহরণের ঘটনা ঘটেছে নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের কাজুরু এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুও আছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর পোশাক পরা সশস্ত্র একদল লোক মোটরবাইকে করে তাদের গ্রামে পৌঁছায়। গ্রামপ্রধান টাঙ্কো ওয়াদা সারকিন জানান, ৮৭ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
কাদুনা পুলিশের মুখপাত্র মনসুর হাসান বলেছেন, কাজুরুতে অপহরণের ঘটনাটি ঘটেছিল গত রোববার রাতে। তিনি জানিয়েছেন, অপহৃতদের উদ্ধারে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ইব্রাহিম গাজেরে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, বন্দুকধারীরা অস্ত্রের মুখে লোকজনকে তাদের বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
গ্রামপ্রধান টাঙ্কো ওয়াদা সারকিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ঝোপের মধ্য দিয়ে পালিয়ে পাঁচজনের বাড়ি ফিরে আসার খবর পেয়েছি। তিনি জানান, এ নিয়ে বিগত কয়েক মাসে পাঁচ বার দস্যুরা এই গ্রামে হামলা চালাল।
এর আগে গত ৭ মার্চ বন্দুকধারীরা কাজুরু থেকে প্রায় দেড় শ কিলোমিটার দূরে কুরিগা গ্রামের একটি স্কুল থেকে আড়াই শ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এটি নাইজেরিয়ায় বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় অপহরণ হামলাগুলোর একটি।
নাইজেরিয়ার বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থা এসবিএম ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, গত বছরের মে মাসে নাইজেরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৭৭৭ জন অপহৃত হয়েছেন। এই হামলাগুলোর বিপরীতে সরকারি বাহিনীর কর্মতৎপরতা খুব একটা দেখা যায়নি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: