পশ্চিমাদের প্রতি হুমকি জানিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, কারিগরিগতভাবে পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে সেনা পাঠায় তাহলে মস্কো এটিকে চলমান সংঘাতে বড় ধরনের উসকানি হিসেবে বিবেচনা করবে। ১৩ মার্চ, বুধবার তিনি এ কথা বলেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পারমাণবিক যুদ্ধের দৃশ্যপট ত্বরান্বিত হচ্ছে না এবং ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের কোনও প্রয়োজনীয়তা তিনি দেখেন না।
রাশিয়া পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য সত্যিকার অর্থে প্রস্তুত কিনা জানতে চাইলে রসিয়া-১ টেলিভিশন ও বার্তা সংস্থা আরআইকে ৭১ বছর বয়সী রুশ নেতা বলেছেন, সামরিক-কারিগরি দিক থেকে অবশ্যই আমরা প্রস্তুত।
পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র জানে যে আমেরকিান সেনাদের রুশ ভূখণ্ড বা ইউক্রেনে মোতায়েন করা হলে রাশিয়া সেটিকে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করবে।
তিনি বলেছেন, রুশ-আমেরকিান সম্পর্ক ও কৌশলগত সংবরণের খাতের পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। ফলে আমি মনে করি না পারমাণবিক সংঘাতের দিকে সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
ইউক্রেন যুদ্ধে পশ্চিমাদের বৃহত্তর সংশ্লিষ্টতা এড়াতে পুতিন একাধিকবার প্রকাশ্যে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, রাশিয়ার পারমাণবিক কর্মকাণ্ডে বড় কোনও পরিবর্তন আসেনি। তবে পুতিনের প্রকাশ্য হুমকিতে ওয়াশিংটনে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে।
পুতিন বলেছেন, ব্যবহারের জন্যই অস্ত্রগুলো রয়েছে। এগুলো ব্যবহার করার জন্য আমাদের নিজস্ব নীতি রয়েছে।
ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কখনও অনুভব করেননি বলেও জানান তিনি।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য প্রস্তুত রাশিয়া। কিন্তু তা হবে বাস্তবতার আলোকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: