গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় বিশ্বের বৃহত্তম এক দিনের নির্বাচনে ক্লান্তিজনিত কারণে এ পর্যন্ত ৭১ জন নির্বাচনকর্মী মারা গেছেন বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির নির্বাচনী সংস্থার চেয়ারম্যান হাসিম আসিয়ারি বলেছেন, ‘১৪ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ক্লান্তির কারণে আরো প্রায় চার হাজারজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ভোটের পর ৫০০টিরও বেশি ভোটকেন্দ্রে কর্মী মারা গিয়েছিলেন। এ ঘটনার পর সরকার স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য বয়সের সীমা নির্ধারণ করে দেয় এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। কিন্তু এত সতর্কতা সত্ত্বেও সর্বশেষ নির্বাচনে বেশ কয়েকজনের জীবন চলে গেছে।
ইন্দোনেশিয়ায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি, বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে ভোটগ্রহণ করা হয়। কিন্তু নির্বাচন শুরু হওয়ার অন্তত ছয় ঘণ্টা আগ থেকে কর্মীদের কার্যক্রম শুরু করতে হয় এবং ভোটকেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় কাজ করতে হয়। কাগজের ব্যালটবাক্স বিতরণ থেকে শুরু করে ভোট গণনা ও ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মীদের টানা চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করতে হয়।
এবারের নির্বাচনে দেশজুড়ে আট লাখ ভোটকেন্দ্রে কাজ করার জন্য ৫০ লাখ লোক নিয়োগ করা হয়। ফলে লম্বা সময় ধরে কাজ করায় অনেকের মৃত্যু হয়। প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে চলা গত সপ্তাহের ভোটে দেশজুড়ে আট লাখ ভোটকেন্দ্রে পাঁচ মিলিয়ন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করেছেন।
জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং বিধায়কদের নির্বাচন করতে ২০০ মিলিয়নেরও বেশি নিবন্ধিত ভোটার ছিলেন। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রবোও সুবিয়ান্তো অনানুষ্ঠানিক ফলাফলের ভিত্তিতে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। ২০ মার্চের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: