সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত ইরান এবং সৌদি আরব

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:১১

সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন সৌদ আল-আঞ্জির এবং ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি : সংগৃহীত ছবি সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন সৌদ আল-আঞ্জির এবং ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি : সংগৃহীত ছবি

সৌদি আরবের সঙ্গে সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সম্প্রসারণ করতে ইরান প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানি। গত মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন। ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহরের বরাতে খবরটি দিয়েছে তাসনিম নিউজ এজেন্সি।

ইরানের রাজধানী তেহরানে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন সৌদ আল-আঞ্জির সঙ্গে বৈঠকের সময় সামরিক, নিরাপত্তা, গোয়েন্দা ও প্রযুক্তিসহ দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় আসতে পারে এমন ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আশতিয়ানি। তিনি আস্থা প্রকাশ করেন যে, এ ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশই উপকৃত হবে এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে উন্নত করবে।

আশতিয়ানি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলোর স্বার্থ এবং অভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও নিরাপত্তার বিষয়ে দেশগুলোর বোঝাপড়া থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে এই অঞ্চলের সম্মিলিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব পালন করা উচিত। সেই লক্ষ্যে সৌদি আরব এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা আলোচনার জন্য ইরানের পূর্ণ প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছেন তিনি।

ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনিদের নির্বিচার হত্যার নিন্দা করেছেন আশতিয়ানি। গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের জন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে আরও চূড়ান্ত এবং সমন্বিত পদক্ষেপ ও অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সৌদি রাষ্ট্রদূত তাঁর পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা ও কারিগরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সৌদি আরব এবং ইরান দুটি বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। প্রতিনিধিদল পাঠানো এবং দুই রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে তাদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

২০২৩ সালের মার্চে সৌদি আরব ও ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার এবং তাদের দূতাবাস ও মিশন পুনরায় চালু করার জন্য বেইজিংয়ে একটি যুগান্তকারী চুক্তিতে পৌঁছেছিল। গত বছরের এপ্রিলে দুই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে অবিলম্বে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালুর ঘোষণা দেয়।

ইরানে সৌদি কূটনৈতিক মিশনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় সৌদি আরব ২০১৬ সালের শুরুর দিকে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সৌদি আরব একজন শিয়া ধর্মগুরুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর এই হামলা চালানো হয়।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: