২০২০ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনীর সম্পদ আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ১৪ জানুয়ারি, রবিবার প্রকাশিত অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক বৈষম্য প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে ২০২০ সাল থেকে বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ, এই সময়ে হওয়া মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে তাদের বিত্ত তিনগুণ দ্রুত বেড়েছে। আর এই ৫ ধনীর তালিকায় রয়েছে- জেফ বেজোস, ওয়ারেন বাফেট, বার্নার্ড আর্নল্ট, ল্যারি এলিসন ও ইলন মাস্ক।
তথ্যমতে, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় ২০২০ সাল থেকে এই বিলিয়নিয়ারদের মোট সম্পদ ১১৪ শতাংশ বেড়ে ৮৬৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আর বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে এক দশকের মধ্যেই প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার বা এক লাখ কোটি ডলার সম্পদমূল্যের ধনকুবেরকে দেখবে বিশ্ব।
একই সময়ে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫ বিলিয়ন মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছে, যাদের উচ্চ মূল্যস্ফীতি, যুদ্ধ-সংঘাত ও জলবায়ু সংকটের সাথে লড়তে হচ্ছে। সম্পদের ব্যাপক বৈষম্যের এই অবস্থায়, বর্তমান পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে দারিদ্র্য দূরীকরণে প্রায় ২৩০ বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছে অক্সফাম।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে যখন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক অধিবেশন শুরু হচ্ছে, ঠিক সেই মুহুর্তে ফোর্বসের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে তৈরি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে অক্সফাম।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবচেয়ে বেশি সম্পদ বেড়েছে টেসলা ও স্পেসএক্সসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি পরিচালনাকারী ইলন মাস্কের।
গত বছরের নভেম্বরের শেষে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৫.৫ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২০ সালের মার্চের তুলনায় ৭৩৭ শতাংশ বেশি।
একই সময়ে ফরাসি বিলাসবহুল পণ্য জায়ান্ট লুই ভিঁতো (এলভিএমএইচ) চেয়ারম্যান বার্নার্ড আর্নল্ট এবং তার পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৯১.৩ বিলিয়ন ডলার, যা ১১১ শতাংশ বেড়েছে।
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমাণ ২৪ শতাংশ বেড়ে ১৬৭.৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসনের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৪৫.৫ বিলিয়ন ডলার, যা ১০৭ শতাংশ বেড়েছে।
শীর্ষ পাঁচ ধনী ব্যক্তির তালিকায় রয়েছেন বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের সিইও ওয়ারেন বাফেট, যার মোট সম্পদ ৪৮% বৃদ্ধি পেয়ে ১১৯.২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও, আমেরিকান বিলিয়নিয়ারদের (যাদের মধ্যে অনেকেই তাদের নেতৃত্বাধীন সংস্থাগুলোর শেয়ার মালিকানা থেকে সম্পদ অর্জন করেন) সম্পদ ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলার বেড়েছে। সূত্র: অক্সফাম, সিএনএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: