থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন : চলছে ভোটগ্রহণ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৪ মে ২০২৩ ১৯:৪৩

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

 

থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণা উৎসবের হৈ-হুল্লোড় শেষে আজ ভোটের মাঠে গোটা থাইল্যান্ড। স্থানীয় সময় রোববার (১৪ মে) সকাল আটটায় শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। খবর রয়টার্সের।

৭ কোটি ১০ লাখ জনগোষ্ঠীর দেশটিতে ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি ২০ লাখ। এদের মধ্যে ৩ কোটি ৩০ লাখই নতুন প্রজন্মের।

প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাল্লায় এক দিকে রয়েছেন পরিবারতন্ত্রের পেতংটান সিনাওয়াত্রা (৩৬)। ফিউ থাই পার্টি। অন্যদিকে সামরিক জান্তা প্রধান প্রয়ুত-চান-ও-চা (৬৯)। ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি।

এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বিই মুখে মুখে আলোচনার খোরাক হলেও ছায়ার মতো নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবির্ভাব হয়েছে তৃতীয় আরেক শক্তির।

পিটা লিমজারোয়েনরাত। মুভ ফরওয়ার্ড নেতা। যুবসমাজ পরিচালিত গণতন্ত্রপন্থি একটি দল। পরিবর্তনের একটি দৃঢ় কণ্ঠস্বরে নিজের অবস্থান গড়েছে পিটার দল। আসন্ন নির্বাচনে তরুণ সমর্থকদের নিজেদের শক্তি হিসাবে মনে করছেন।

দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটনখ্যাত এ দেশ থাইল্যান্ডের জটিল রাজনৈতিক ইতিহাস রয়েছে। ১৯৩২ সালে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা থ্যাইল্যান্ডে ১২টির বেশি অভ্যুত্থান ঘটেছে। সময়ের বেড়াজালে দেশটিকে ২০টি ভিন্ন সাংবিধানিক চক্রের মধ্যে যেতে হয়েছে। সংসদে ৫০০টি আসন আগামী চার বছরে বরাদ্দ থাকবে।

৬৩ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী সংখ্যা যাদের মধ্যে ৪৩টি দল মনোনীত। সর্বশেষে ৪টি দল নির্বাচনের লড়াইয়ে যোগ দেন। প্রচার মাঠে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার ভাতিজি পেতংটান সিনাওয়াত্রা। 

মোট ৯৫ হাজার ভোটকেন্দ্র থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে সংগ্রহ করা হবে ফলাফল। রাত ১১টার মধ্যে অনানুষ্ঠানিক ফলাফল জানা যাবে বলে প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশনের। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করতে হবে দু’মাস। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে হলে নিম্নকক্ষ ও সিনেট মিলিয়ে ৩৭৬ ভোট পেতে হবে কোনো প্রার্থীকে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: