ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি সম্পন্ন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৪ মে ২০২৩ ০৮:২১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনির সশস্ত্র দলগুলো অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২ মে শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়েছে। মিশর, কাতার ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় এটি কার্যকর হয়।

দুই পক্ষের মধ্যকার এ অস্ত্রবিরতিতে মধ্যস্থতা করেছে মিসর। দেশটির আল-কাহেরা টেলিভিশন চ্যানেল গতকাল এক প্রতিবেদনে জানায়, উভয় পক্ষই অস্ত্রবিরতির সমঝোতার শর্ত মেনে চলতে সম্মত হয়েছে।

গত কয়েক দিনের এ সংঘাতে গাজায় ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্য অন্তত ১৩ বেসামরিক নাগরিক। অন্যদিকে ইসরায়েলে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা রকেট হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এবং গাজা থেকে কাজের অনুমতি নিয়ে ইসরায়েলে যাওয়া একজন ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে।

আল-কাহেরা টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দুই পক্ষই অস্ত্রবিরতি মেনে চলবে। বেসরকারি নাগরিকদের হামলার লক্ষ্যবস্তু না বানানো, বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া ও এক অপরকে ভূখণ্ড লক্ষ্য করে চালানো হামলা অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হবে।’

অস্ত্রবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামপন্থী গ্রুপের মুখপাত্র দাউদ শেহাব বলেন, ‘মিসরের অস্ত্রবিরতির ঘোষণা আমরা মেনে নিয়েছি এবং দখলদার ইসরায়েল যতক্ষণ পর্যন্ত অস্ত্রবিরতির শর্ত মেনে চলবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরাও তা মেনে চলব।’

ইসরায়েলি কারাগারে খাদের আদনান নামের এক বন্দির মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন ফিলিস্তিনিরা। ‘অবৈধ গ্রেপ্তারের’ প্রতিবাদে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আদনান আমরণ অনশন শুরু করেন। দীর্ঘ ৮৭ দিন অনশন করার ২ মে তার মৃত্যুর খবর জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।

‘গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন’ বন্ধে অস্ত্রবিরতির আলোচনায় যুক্ত ছিল হামাসের একটি প্রতিনিধি দলও। বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ করতে উভয় দেশ ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ।

একটি ফিলিস্তিনি সূত্র আল জাজিরা আরবিকে বলেছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণ যেন না বাড়তে পারে, সেজন্য বেশ কয়েকটি পক্ষের আলোচনার ফলাফল ছিল এই যুদ্ধবিরতি। হামাস ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর কর্মক্ষমতারও প্রশংসা করেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: