ইউএই এর মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বন্দি বিনিময়

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৫ জানুয়ারী ২০২৪ ১৫:২৪

রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বন্দি বিনিময় : সংগৃহীত ছবি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে বন্দি বিনিময় : সংগৃহীত ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যস্থতায় ৪৭৮ জন বন্দি বিনিময় করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম একবারে এত সংখ্যক বন্দি বিনিময় করলো ইউরোপের দেশ দুইটি।

এটি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ৪৮তম বন্দি বিনিময় । এটিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় বলে দাবি করেছে কিয়েভ কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সীমান্তরক্ষী সদস্যসহ ২৩০ জন ইউক্রেনীয় বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে রাশিয়া। অপরদিকে চুক্তি অনুযায়ী, ২৪৮ জন রুশ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইউক্রেন। গত বছর আগস্টের পর থেকে এটিই প্রথম বড় বন্দি বিনিময়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, আমাদের লোকজন বাড়ি ফিরে এসেছে। রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে ২০০ জনেরও বেশি যোদ্ধা ও বেসামরিক নাগরিককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের আলোচনাটি কঠিন ছিল।

ইউক্রেন জানিয়েছে, মুক্ত করা সেনাদের মধ্যে কৃষ্ণসাগরের স্নেক আইল্যান্ডের সাতজনও রয়েছেন। এছাড়া, মুক্তিপ্রাপ্ত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন চেরনোবিল অঞ্চলের বন্দি ন্যাশনাল গার্ডসম্যান এবং মারিওপোলের আজভস্টল স্টিল প্ল্যান্টের যুদ্ধে আটক হওয়া সেনারা। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ছয়জন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।

সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে উভয়পক্ষ।

ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার বন্দিদশা থেকে ৪৮ বারে প্রায় দুই হাজার ৫৯৮ জনকে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্ত হওয়া কিছু ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি বলেছেন, ‘মারধর ও বৈদ্যুতিক শকসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছি আমরা।’

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের এই বন্দী বিনিময়কে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। ৪ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার জাতিসঙ্ঘের এক মুখপাত্র স্টেফানি ট্রেম্বলে বলেন, এক্ষেত্রে ‘তিনি উভয় পক্ষের প্রচেষ্টার এবং তৃতীয় পক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহায়তার প্রশংসা করেন যা এমন ইতিবাচক উন্নয়নে অবদান রেখেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আশা প্রকাশ করেন যে আরো যুদ্ধবন্দী বিনিময় এবং উত্তেজনা কমানোর ক্ষেত্রে এমন ইতিবাচক পদক্ষেপ অনুসরণ করা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: