ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে জার্মানি চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারের সাথে তুলনা করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। তিনি বলেন, ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন, তার সাথে ইউরোপে ইহুদিদের সাথে নাৎসী বাহিনী প্রধান হিটলার যে আচরণ করেছিলেন, তার কোনো পার্থক্য নেই।
২৭ ডিসেম্বর, বুধবার রাজধানী আঙ্কারায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেন। এ সময় ইসরাইলের প্রতি পশ্চিমাদের অকুণ্ঠ সমর্থনের করেন এরদোগান।
এরদোগান তাঁর বক্তব্যে চলমান হামলায় ইসরায়েলকে সহায়তা দেওয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করেন। পাশাপাশি গাজায় চলমান সংঘাত নিয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি বা অভিমতের কারণে যেসব বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ হত্যার হুমকিতে রয়েছেন, তাঁদের তুরস্ক আশ্রয় দিতে প্রস্তুত বলেও জানান।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে ‘গাজার কসাই’ আখ্যা দিয়েছিলেন এরদোগান। গত ৩০ নভেম্বর করা এ সম্পর্কিত মন্তব্যে এরদোগান বলেন, বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শতাব্দীর সবচেয়ে জঘন্যতম এবং সবচেয়ে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়ে ইতিহাসে গাজার কসাই হিসেবে নাম লিখেয়েছেন। তাঁর সরকার যে বিবৃতি দিয়েছে, তাতে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আশা করা যায় না।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ১৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো ৩২৫ জন। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফুল কুদরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফুল কুদরা বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ১৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরো ৩২৫ জন। তাদের নিয়ে সর্বমোট নিহতের সংখ্যা ২১ হাজার ১১০ জনে পৌঁছেছে।
অপরদিকে, ইসরাইলি সেনাদের ক্রমবর্ধমান মৃত্যুতে চাপে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
২৭ ডিসেম্বর, বুধবার কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর যুদ্ধ বিরতি শুরু হওয়ার পর সেনাদের নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ভীষণ চাপে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
আল জাজিরার প্রতিনিধি অ্যালন ফিশার জানিয়েছেন, ইসরাইলিদের মাঝে এখন একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে, যদি গাজায় বন্দী ইসরাইলিদের মুক্তি করাই সামরিক বাহিনীর উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তবে সেনা সদস্যদের মৃত্যুর বহর দীর্ঘ হচ্ছে কেন?
সূত্র : আল জাজিরা
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: