পেন্টাগনের ছবি তুলেছে উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা উপগ্রহ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:১৩

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জংউন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রস্তুতি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন : সংগৃহীত ছবি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জংউন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রস্তুতি কমিটির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন : সংগৃহীত ছবি

সামরিক গোয়েন্দা উপগ্রহ সফলভাবে মহাকাশে পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্থানীয় সময় ২৮ নভেম্বর, মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, নেতা কিম জং উন গোয়েন্দা উপগ্রহের তোলা যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন এবং নরফোকের নৌ ঘাঁটিতে আমেরিকান বিমানবাহী জাহাজের ছবি দেখেছেন।

গত কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন দেশের সরকার এবং বিশ্লেষকদের নজরদারির পরেও এ ধরনের কার্যক্রমে সফল হলো উত্তর কোরিয়া। বিশ্বকে তারা এই বার্তা দিলো যে, আমরাও তোমাদের ওপর নজরদারি চালাতে পারি।

উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহে সফলভাবে তাঁদের প্রথম ‘রিকনেসান্স স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণ করেছে। দেশটি বলছে, উপগ্রহটি আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য নকশা করা হয়েছে। তারপর থেকে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া উপগ্রহটি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামের অ্যান্ডারসেন বিমানঘাঁটি, ইতালিতর শহর এবং সামরিক ঘাঁটির ছবি তুলেছে। তবে এখন পর্যন্ত পিয়ংইয়ং কোনো ছবি প্রকাশ করেনি।

ফলে বিশ্লেষক এবং পশ্চিমা সরকারদের প্রশ্ন, আসলেই নতুন গোয়েন্দা উপগ্রহটি কতটা সক্ষম। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া মঙ্গলবার বলেছিল, উত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা উপগ্রহের ক্ষমতা যাচাই করা যায়নি।

জেমস মার্টিন সেন্টার ফর নন-প্রলিফারেশন স্টাডিজের স্যাটেলাইট ইমেজ বিশেষজ্ঞ ডেভ শ্মারলার বলেছেন, “উপগ্রহ নিয়ে করা উত্তর কোরিয়ার দাবি ( বিশাল এলাকা বা যুদ্ধজাহাজগুলোর নজর রাখার ক্ষমতা) নিয়ে সন্দেহ করার কোনো কারণ নেই, একটি মাঝারি-রেজোলিউশন ক্যামেরাও পিয়ংইয়ংকে সেই ক্ষমতা দিতে পারে।”

কেসিএনএ জানিয়েছে, কৃত্রিম উপগ্রহটি পিয়ংইয়ংয়ের প্রধান প্রধান লক্ষ্যবস্তু অঞ্চলের ছবি পাঠাচ্ছে। এসব লক্ষ্যবস্তু অঞ্চলের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি আছে। অন্যান্য ছবির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামের অ্যান্ডারসেন বিমানঘাঁটির স্যাটেলাইট ছবি দেখেছেন কিম জং-উন। তিনি নরফোক ও নিউপোর্টের আমেরিকান নৌ ঘাঁটি ও বিমান ঘাঁটির স্যাটেলাইট ছবিও দেখেছেন। সেখানে মোট চারটি পারমাণবিক চালিত বিমানবাহী আমেরিকান রণতরি দেখা গেছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের একটি বিমানবাহী রণতরিও ছবিতে দেখা গেছে।

২৭ নভেম্বর ছবিগুলো তোলা হয়েছে বলে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার এই উৎক্ষেপণটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের পরিপন্থী বলে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া এর নিন্দা জানিয়েছে।


সূত্র: রয়টার্স

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: