দীর্ঘ নাটকীয়তার পর অবশেষে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হলো গাজা উপত্যকায়। আজ ২৪ নভেম্বর, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে বহু আকাঙ্ক্ষিত এই যুদ্ধবিরতি। ২৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার কাতারে দুই পক্ষের মধ্যকার সমঝোতার বিষয়টি প্রকাশ করা হয়। ইসরাইল, হামাস, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের ব্যাপক আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো চূড়ান্ত হয়।
১৪ অক্টোবর প্রথম বার জাতিসঙ্ঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করে রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের আপত্তির কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।
তার দুই দিন পর ১৬ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় মানবিক বিরতির আহ্বানের প্রস্তাব উত্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র; কিন্তু রাশিয়া ও চীনের আপত্তির কারণে সেটিও বাতিল হয়ে যায়।
চুক্তি অনুযায়ী স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় গাজা থেকে হামাস ১৩ বন্দীকে মুক্তি দেবে। এরা সবাই হবে নারী ও শিশু। আজকের মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন আমেরিকানও থাকবে। এদের একজন হচ্ছে তিন বছর বয়স্ক আবিগাইল মোর ইদান।
এর বিনিময়ে স্থানীয় সময় আজ রাত ৮টায় ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। ইসরাইলের তিনটি কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেয়া হবে।
গাজায় আন্তর্জাতিক রেড ক্রস বন্দীদের মুক্তির সাথে সম্পৃক্ত থাকবে। তারাই বন্দীদেরকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হাতে হস্তান্তর করবে। এরপর শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তারপর তাদেরকে শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য ইসরাইলের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হবে।
হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভেতরে হামলা চালিয়ে প্রায় ২৪০ জনকে ধরে আনে। ইতোমধ্যে দুই দফায় চারজনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। হামাসের হামলায় ওই দিন প্রায় ১২ শ' লোক নিহত হয়েছিল বলে ইসরাইলিরা দাবি করছে। আর এরপর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গাজার বিরাট অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: