সংগৃহীত ছবি
                                    তাইওয়ান প্রণালীকে ঘিরে চীনের কঠোর পদক্ষেপ আরেকটি বড় যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে। এই সপ্তাহে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে থাকবে বলেও খবরে জানানো হয়েছে।
স্পর্শকাতর তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের একটি নৌবহরের ওপর নজর রাখছে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী। একটি বিমানবাহী রণতরী এই বহরের নেতৃত্বে রয়েছে। চীনা বিমানবাহী রণতরী শ্যানডং এপ্রিল মাসে তাইওয়ানের আশপাশে পরিচালিত চীনা সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়। এরপর গত মাসে আবার প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করে।
তাওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানায়, চীনা রণতরীগুলো বুধবার সংকীর্ণ তাইওয়ান প্রণালীতে প্রবেশ করে। বহরটি উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তবে জাহাজগুলো চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার আন-অফিসিয়াল ব্যারিয়ার হিসেবে পরিচিত পানিপথটির মধ্যরেখার চীনা অংশ দিয়েই চলাচল অব্যাহত রাখছে।
চীন বলছে, তাইওয়ান প্রণালীটি কোনো আন্তর্জাতিক পানিপথ নয়, এটি তার একক সার্বভৌম এলাকা। তবে চীনের এই দাবি মানতে নারাজ তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই এই প্রণালী দিয়ে রণতরী পাঠায়। গত সপ্তাহেই তারা পাঠিয়েছিল, এ সময় কানাডার একটি ফ্রিগেটও ছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে চীনা ক্যারিয়ার গ্রুপটি তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে চলতে থাকার সময় তাইওয়ান সেটির ওপর নজর রাখার জন্য একটি ‘যথাযথ’ বাহিনী পাঠায়। তবে এ ব্যাপারে তারা বিস্তারিত তথ্য জানায়নি। এ ব্যাপারে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো কিছু জানায়নি।
এ দিকে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার জানায়, শ্যানডং এবং নৌবাহিনীর অন্য জাহাজগুলো ৯ দিন ধরে প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ডিং মহড়া পরিচালনার পর দক্ষিণ চীন সাগরের দিকে রওনা হয়। ২০১৯ সালে কমিশনপ্রাপ্ত শ্যানডং গত জুনেও তাওয়ান প্রণালী অতিক্রম করেছিল।
তাইওয়ান প্রায়ই অভিগো করে থাকে যে চীনা বিমানবাহিনীর বিমান প্রণালীর মধ্যরেখা লঙ্ঘন করে। চীন সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানের কাছাকাছি এলাকায় সামরিক তৎপরতা জোরদার করেছে। চীন দাবি করে যে তাইওয়ান তারই অংশবিশেষ। তবে তাইওয়ান তা মানে না।
তবে চীনের এই কর্মকাণ্ড উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ডিফেন্স প্রায়োরিটিসের এশিয়া এনগেজমেন্টের ডিরেক্টর লাইল গোল্ডস্টেইন বলেন, 'এটি খুব উচ্চ পর্যায়ের উত্তেজনায় পৌঁছেছে।'
তিনি বলেন, অবিশ্বাসকে সহজ করে এমন একটি অগ্রগতি ছাড়া, বর্তমান মোটামুটি তীব্র সংকট অব্যাহত থাকবে। যুদ্ধ মূলত যে কোন সময় ঘটতে পারে।
শি এবং বাইডেন এই সপ্তাহে সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠক করবেন।
            
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
                                                        
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: