জনসম্মুখ থেকে প্রায় দুই মাস অদৃশ্যে থাকার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শ্যাংফুকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত করেছে চীন। কি কারণে তাকে বরখাস্ত করা হলো সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। তার পদে কে আসবেন সে ঘোষণাও দেয়া হয়নি। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় কিন গাংকে। শুধু তিনি একাই নন, বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাকেও একই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে। ২৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার ঘোষণায় বলা হয়েছে স্টেট কাউন্সিলে পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে কিন গাং ও লি শ্যাংফুকে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
রাষ্ট্রীয় সিসিটিভি রিপোর্ট করেছে- এই দু’জনের বরখাস্ত আদেশ অনুমোদন করেছে চীনের শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটি। লি শ্যাংফুকে বরখাস্ত করার ফলে চীনে এখন কোনো প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেই। তাকে বরখাস্ত করা হলো যখন এই সপ্তাহে বেইজিংয়ে বিদেশি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের একটি সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন।
গত মাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্স রিপোর্টে বলে যে, লি শ্যাংফু উন্নয়ন ও কেনাকাটা বিষয়ক দুুর্নীতির অভিযোগে তদন্তাধীন ছিলেন। তাকে সর্বশেষ প্রকাশ্যে দেখা যায় বেইজিংয়ে আফ্রিকান দেশগুলোর একটি নিরাপত্তা বিষয়ক ফোরামে গত ২৯শে আগস্ট।
উল্লেখ্য, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদে লি শ্যাংফুকে বসানো হয়েছিল মার্চে। তিনি নিজে একজন মহাকাশ বিষয়ক প্রকৌশলী। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন স্যাটেলাইট ও রকেট উৎক্ষেপণ সেন্টার থেকে। চীনের সেনাবাহিনী এবং রাজনৈতিক অভিজাতদের কাতারে উঠে এসেছিলেন মসৃণভাবে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের খুব প্রিয়পাত্র ছিলেন তিনি।
২০১৮ সালে তিনি সেনাবাহিনীর অস্ত্র সরঞ্জাম বিষয়ক প্রধান ছিলেন। এ সময় তিনি দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ আছে। চীনের কাছ থেকে রাশিয়ান যুদ্ধবিমান ও অস্ত্র কেনার জন্য তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আছে। এ কারণে তিনি এ বছরের শুরুতে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা বিষয়ক এক সামিটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানান।
সূত্র : রয়টার্স / বিবিসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: