বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বলেছে, তারা দীর্ঘমেয়াদি মানবিক সংকটের বিষয়ে সতর্ক বলে সাহায্য ও চিকিৎসা সরবরাহের জন্য গাজায় জরুরি প্রবেশাধিকার প্রয়োজন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক ব্রিফিংয়ে ডাব্লিউএইচওর কর্মকর্তারা বলেছেন, নিহত দুই হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনির মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু। হামাসের মারাত্মক হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক বোমাবর্ষণ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় আরো ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছে।
তাঁরা আরো বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাজায় প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করার জন্য জাতিসংঘের সংস্থা আজ ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের’ সঙ্গে বৈঠক করছে, বর্তমানে সেখানে প্রবেশ বা বের হওয়ার কোনো উপায় নেই।
তাঁরা জানান, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে ১১৫টি হামলা হয়েছে এবং গাজার অধিকাংশ হাসপাতাল কাজ করছে না, পানি ও বিদ্যুতের অভাব রয়েছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডাব্লিউএ এক বিবৃতিতে বলেছে, পানি ও স্যানিটেশন পরিষেবার পতনের কারণে পানিশূন্যতা ও জলবাহিত রোগ নিয়ে উদ্বেগ বেশি। পানি ছাড়া মানুষ মরতে শুরু করবে।
এদিকে ইসরায়েলের একজন সামরিক মুখপাত্র গাজায় মরিয়া অবস্থা এবং ইসরায়েল খাদ্য, পানি, জ্বালানি ও বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধ করার কারণে জাতিসংঘের সতর্কতা সত্ত্বেও মানবিক সংকটের কথা অস্বীকার করেছেন।
বিবিসি নিউজনাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট জোর দিয়ে বলেছেন, গাজায় বিদ্যুৎ ও পানি আছে।
হেচট বলেছেন, ‘হামাসকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি আমাদের নেই। যারা আমাদের ওপর হামলা করেছে, তারা বহু বছর ধরে গাজা উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের বিদ্যুৎ আছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: