ফিলিস্তিনিপন্থীদের দমনে ফ্রান্সে ক্রাকডাউন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:১০

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ফ্রান্সের রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। কিন্তু তাদেরকে দমনে সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে ফরাসি পুলিশ। জলকামান থেকে শুরু করে টিয়ার গ্যাস সবই ব্যবহার করছে তারা। নির্মমভাবে পেটানো হচ্ছে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়ানো বিক্ষোভকারীদের। ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের প্রতিবাদ জানানো দূরে থাক, উল্টো ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন জানানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশটিতে। 

ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন জানানোও নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্স। সেই নিষেধাজ্ঞা ভেঙেই ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে প্যারিসের রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। এসময় তারা স্লোগানে স্লোগানে ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। কিন্তু দ্রুতই পুলিশি নিপীড়নের মুখে পড়তে হয় তাদের। ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা পুলিশ এসে রীতিমতো হামলা চালায় ওই বিক্ষোভে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির জলকামান দিয়ে অব্যাহতভাবে ফিলিস্তিনিপন্থীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। আরেক ভিডিওতে দেখা যায় বয়স্ক বৃদ্ধাদেরও ছাড় দেয়নি ফরাসি পুলিশ।

এদিন প্যারিসের বিখ্যাত প্লেস দে লা রিপাবলিকের স্মৃতিস্তম্ভে রঙ স্প্রে করে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লিখে দেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের অনেকেই ফিলিস্তিনি পতাকা শরীরে জড়িয়ে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। এসময় ‘আমরা সবাই ফিলিস্তিনি’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে বিক্ষোভস্থল।

১২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেরাল্ড ডারমানিন ফিলিস্তিনের পক্ষে সকল বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। বিদেশী কেউ এ ধরণের বিক্ষোভে যোগ দিলে তাকে তার দেশে ফেরত পাঠানোর কথাও বলেন তিনি। পাশাপাশি দেশটিতে থাকা ইহুদি এবং ইহুদিদের পবিত্র স্থানগুলো রক্ষায় ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা অন্তত ৫০০টি স্থানে ইহুদিদের সুরক্ষা দেবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রন নিজেও এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে ফ্রান্সের সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। টেলিভিশনে এক ভাষণে তিনি বলেন, আমরা কারও অনুকরণ করে দেশে আদর্শিক দুঃসাহসিক কাজ না করি। আসুন দেশীয় বিভাজনকে আন্তর্জাতিক বিভাজনের সঙ্গে যুক্ত না করি। ঐক্যের ঢালই আমাদের ঘৃণা ও বাড়াবাড়ি থেকে রক্ষা করবে।

 

সূত্র : আরটি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: