ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা বাতিল

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৯ আগস্ট ২০২৩ ১৯:২২

ইমরান খান : সংগৃহীত ছবি ইমরান খান : সংগৃহীত ছবি

 

পাকিস্তানের একটি আদালত দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা বাতিল করেছে। কারাগারে থাকা পিটিআই নেতার জন্য এটি একটি স্বস্তির খবর। ২৮ আগস্ট সোমবার আদালত মামলাটি বাতিল করেছে। পৃথক দুর্নীতির মামলায় কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

৭০ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি আপিল দাখিল করেছিলেন। এই মাসের শুরুতে তোসাখানা দুর্নীতি মামলায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি এই কারাদণ্ড ভোগ করছেন।

আপিলে তিনি দাবি করেছেন, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।তার আইনজীবী নাঈম পাঞ্জুথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, আদালত মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করবে।

মার্চ মাসে বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় একটি ভাষণকে কেন্দ্র করে ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। সোমবার বেলুচিস্তান হাইকোর্ট বলেছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করার জন্য ফেডারেল বা প্রাদেশিক সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সম্মতি পেতে প্রসিকিউটররা ব্যর্থ হয়েছেন।

মামলাটি খারিজ করে আদালত বলেছে, অভিযোগগুলো আইনসম্মত কর্তৃপক্ষ ব্যতীত এবং কোনও আইনি প্রভাব নেই। এই রায়ের পর আইনজীবী পাঞ্জুথা আনন্দ প্রকাশ করেছেন।

২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা কয়েক ডজন মামলার মধ্যে এই রাষ্ট্রদ্রোহও ছিল। দুর্নীতি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলার জন্য উৎসাহিত করার অভিযোগ রয়েছে।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর ক্ষমতা হারান তিনি। উৎখাত হওয়ার পর তার জনসমর্থন দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। নভেম্বরে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা বিলম্বিত হতে পারে। নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না ইমরান খান। পাঁচ বছরের জন্য তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।


সূত্র : রয়টার্স 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: