কানাডার দাবানল ধীরে ধীরে ছড়িয়ে যাচ্ছে। আগুন নেভাতে লড়াই করে যাচ্ছে দমকল কর্মীরা। ১৭ আগস্ট, বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর ইয়েলোনাইফ থেকে ২০ হাজার বাসিন্দাকে এলাকা ছাড়তে বলা হয়। ঘোষণার পর স্থানীয়রা গাড়ি এবং বিমানে করে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে।
ইয়েলোনাইফের ওপর দিয়ে বিমানের সাহায্যে পানি ছিটানো হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, আগুন ধীরে ধীরে আগাচ্ছে। এখনও শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে এবং বৃষ্টি না হলে শনিবারের মধ্যে উপকণ্ঠে পৌঁছাতে পারে।
আঞ্চলিক ফায়ার সার্ভিস ফেসবুকে একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘আগামীতে খুব কঠিন দিন আসছে।
শুক্রবার ও শনিবার বাতাসের গতি বৃদ্ধি পেলে ইয়েলোনাইফের দিকে আগুন আরো ঠেলে দেবে।’ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রদেশটি এই বছরই তীব্র দাবানলের শিকার হয়েছে। কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।
ওয়াইল্ড ফায়ার সার্ভিস ডিরেক্টর ক্লিফ চ্যাপম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই আবহাওয়ায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং আমাদের জন্য। আমরা আশঙ্কা করছি, আগুন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং সম্পদ রক্ষা করাও আমাদের জন্য কষ্টকর হবে।’
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বৃহস্পতিবার আগুন নিয়ে আলোচনার জন্য ‘ইনসিডেন্ট রেসপন্স গ্রুপ’ সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। গ্রুপটি সিনিয়র কর্মকর্তা এবং মন্ত্রীদের নিয়ে গঠিত এবং সংকট মোকাবেলায় সাহায্য করবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার বলেছেন, ফেডারেল সরকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার ওপর নজর রাখছে এবং স্থলপথ বিচ্ছিন্ন হলে বাসিন্দাদের দ্রুত বিমানে করে সরিয়ে নেওয়া হবে। দাবানলটি কানাডার সর্বকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল।
দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ২৬৫টি দাবানলসহ সারা দেশে ১ হাজার টিরও বেশি সক্রিয় দাবানল জ্বলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন দাবানল সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: