কিন্তু এই মনোভাব দেশটির দীর্ঘদিনের ‘নিরপেক্ষ থাকার’ রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মত সমালোচকদের।
ইউরোপের স্কাই শিল্ড আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যোগ দিতে সুইজারল্যান্ড আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের সরকার স্কাই শিল্ড উদ্যোগের অংশ হতে তাদের আগ্রহের কথা জানায়।
কিন্তু তাদের এই মনোভাব দেশটির দীর্ঘদিনের ‘নিরপেক্ষ থাকার’ রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মত সমালোচকদের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেইনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করার পর নতুন বাস্তবতায় যৌথভাবে আকাশ সুরক্ষার লক্ষ্যে ২০২২ সালে জার্মানি এই ইউরোপিয়ান ‘স্কাই শিল্ড’ প্রকল্পের প্রস্তাব করেছিল।
শুক্রবার অস্ট্রিয়া ও জার্মানির দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সুইস প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভিওলা আমেরের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে প্রকল্পটিতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ জানানো এক ঘোষণায় স্বাক্ষরও করার কথা রয়েছে ভিওলার।
“ইউরোপিয়ান স্কাই শিল্ড উদ্যোগে অংশ নিতে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড এবং বার্নে (সুইজারল্যান্ডের রাজধানী) এ সংক্রান্ত এক ঘোষণা স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা,” সম্প্রচারমাধ্যম এসআরএফের এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করে রয়টার্সকে বলেছেন ভিওলা।
এখন পর্যন্ত এই স্কাই শিল্ড প্রকল্পে জার্মানি, ব্রিটেন, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনইসহ উরোপের ১৭টি দেশ যুক্ত হয়েছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে প্যাট্রিয়টের মতো ক্ষেপণাস্ত্র ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়ে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে ব্যয় কমানো। প্রশিক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও সরঞ্জাম সংক্রান্ত সহায়তা কার্যকরও প্রকল্পটির অন্যতম লক্ষ্য।
২০২২ সালে রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেইনে সেনা পাঠানোর পর থেকে সুইসদের বানানো যুদ্ধাস্ত্র কিইভকে দেওয়ার অনুমতি দিতে সুইজারল্যান্ডের ওপর তার প্রতিবেশী ইউরোপীয় দেশগুলো ক্রমশ চাপ দিয়ে যাচ্ছে।
কয়েকদিন আগেই বার্ন ইউক্রেইনের জন্য ৯৬টি লেপার্ড ট্যাংক বিক্রিতে সুইস প্রতিরক্ষা কোম্পানি রুয়াগের একটি প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে।
এর আগেও তারা তাদের বানানো যুদ্ধযান ও গোলাবারুদ ইউক্রেইনকে দিতে জার্মানি আর ডেনমার্কের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।
স্কাই শিল্ড প্রকল্পে যুক্ত হতে সুইজারল্যান্ডের আগ্রহ দেশটির ‘নিরপেক্ষ’ অবস্থানের সমর্থক অংশকে উদ্বিগ্ন করেছে।
“এটা কঠোরভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে যায় না,” বলেছেন ওই অবস্থানের সমর্থক গোষ্ঠী প্রো সোয়াইজ এর ভার্নার গাতমান।
উদ্বেগ জানিযে তিনি বলেছেন, “এই পদক্ষেপ সুইজারল্যান্ডকে সামরিকভাবে নেটো ও অন্যান্য বিদেশি রাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল করে তুলবে আর এর দরুন দেশটি অন্য কারও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে।”
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: