বেলজিয়াম

যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য ফাঁস

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:২৭

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত

সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের শাসন পতনের এক বছর পর বেলজিয়াম বর্তমানে কমপক্ষে ১৯টি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছে। দেশটিতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন সিরীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে এই তদন্ত শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলগা নিউজ এজেন্সিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বেলজিয়ামের ফেডারেল প্রসিকিউটরস অফিস।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান প্রকল্প ডামাস্কাস ডসিয়ার-এ এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। এই অনুসন্ধান পরিচালনা করছে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে); বেলজিয়ামের তিন গণমাধ্যম—ডে টিড, লে সোয়র এবং ন্যাক—এর অংশীদার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তদন্তকারীরা সিরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার ফাঁস হওয়া অন্তত ১ লাখ ৩৪ হাজার নথি বিশ্লেষণ করেছেন। এসব নথিতে আসাদ আমলে সংঘটিত ব্যাপক ও পদ্ধতিগত নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে।
এছাড়া সাক্ষাৎকার ও নথি থেকে ধারণা করা হচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত কিংবা আসাদ সরকারের সমর্থক এমন কিছু ব্যক্তি বর্তমানে বেলজিয়ামে বসবাস করতে পারেন।

ফেডারেল প্রসিকিউটরস অফিস জানায়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সিরিয়ার সংঘাতকাল থেকে এ পর্যন্ত ২৭টি মামলা খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি নিষ্পত্তি হয়েছে, আর ১৯টি মামলা এখনো তদন্তাধীন। কিছু তদন্ত দায়েশ (আইএস) সংশ্লিষ্ট যোদ্ধাদের বিরুদ্ধেও চলছে।
এ ছাড়া চারটি মামলা বর্তমানে তদন্তকারী বিচারকের অধীনে রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রায় ২৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ায় পালিয়ে যান বাশার আল আসাদ। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় দীর্ঘদিনের বাথ পার্টির শাসনের অবসান ঘটে। পরবর্তীতে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আহমেদ আল-শারা নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: