গ্রিসে দ্বীপে আতশবাজি থেকে আগুন, গ্রেফতার ১৩

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৩ জুন ২০২৪ ১১:২৫

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে গ্রিসের দ্বীপ হাইড্রার পাইন বন। একটি ইয়ট থেকে ছোড়া আতশবাজি থেকেই দাবানল সূত্রপাত হয়েছিল বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও দমকল কর্মীদের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছিল। এই দাবানলের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

চলতি বছরে তাপপ্রবাহে বেশ কয়েকবার দাবানল হয়েছে গ্রিসে। এর মধ্যে আতশবাজি থেকে আরেকটি দাবানলের ঘটনায় গ্রিসজুড়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ২৩ জুন, রোববার দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

গ্রিক কর্মকর্তারা গত শুক্রবারের দাবানল সম্পর্কে বলেছেন, এথেন্সের দক্ষিণে অবস্থিত বিখ্যাত পর্যটন দ্বীপ হাইড্রারের একমাত্র পাইন বন দাবানলে পুড়ে গেছে। অনেক চেষ্টার পর দাবানলটি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সৈকতে যাওয়ার রাস্তা না থাকায় দমকল কর্মীদের সমুদ্রপথেই হাইড্রায় প্রবেশ করতে হয়েছিল। হেলিকপ্টারগুলো ওপর থেকেই পানি ঢেলেছে।

গত শনিবার এক বিবৃতিতে গ্রিক ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গ্রেফতার ১৩ জনের সবাই গ্রিক নাগরিক এবং রোববার তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

হাইড্রার মেয়র জিওরগোস কৌকোডাকিস গ্রিক সম্প্রচারমাধ্যম ইআরটিকে বলেন, ‘কিছু লোক দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে একটি পাইন বনে আতশবাজি নিক্ষেপ করায় আমরা ক্ষুব্ধ।’

সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে অনেকে। অনেকে মন্তব্য করেছেন ‘মস্তিষ্কের চেয়ে যে ধনী লোকদের টাকা বেশি’ তারাই এ ধরনের কাজ করে বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন এক ব্যক্তি।

শুষ্ক আবহাওয়া, প্রবল বাতাস এবং উচ্চ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকায় গত মঙ্গলবার থেকেই গ্রিসে দাবানলের ব্যাপারে সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে। পুরো গ্রীষ্মজুড়ে এ ধরনের পরিস্থিতি বিরাজ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গত শুক্রবার ৫৫ বছর বয়সী এক স্বেচ্ছাসেবক দমকলকর্মী পেলোপনিস উপদ্বীপের ইলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে আগুনের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে আহত হয়ে পরে মারা যান।

গ্রীষ্মকালীন দাবানল ভূমধ্যসাগরীয় দেশ গ্রিসের জন্য সাধারণ ঘটনা। কিন্তু গ্রীষ্মকালগুলো এখন ক্রমেই আরও উত্তপ্ত ও শুষ্ক হয়ে ওঠায় দাবানলগুলোও হয়ে উঠেছে বেশি ধ্বংসাত্মক। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে মত বিজ্ঞানীদের।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: