অ্যানাকোন্ডা মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন রোসোলি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১ জুন ২০২৪ ১০:৩৪

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ, বিশেষ করে আমাজন জঙ্গলে বসবাস করে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাপের প্রজাতি হলো অ্যানাকোন্ডা। । মানুষের মতো বড় আকারের প্রাণীকেও জীবন্ত গিলে খায় দুর্ধর্ষ এই শিকারিরা। অ্যানাকোন্ডার আস্ত মানুষ গিলে ফেলার বহু ঘটনা আছে। তবে গিলে ফেলার পর মানুষের কেমন অনুভূতি হয়—সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন পল রোসোলি।

নিউ ইয়র্ক পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, পল রোসোলি একজন আমেরিকান সংরক্ষণবাদী, লেখক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। মূলত বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্যই তাঁর সকল কাজ নিবেদিত। এ ধরনের কাজ করার জন্য তাঁকে প্রায় সময়ই গহিন এবং বিপজ্জনক আমাজন জঙ্গলে যেতে হয়। বিশাল এই বনের জীববৈচিত্র্য এবং বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের গুরুত্ব তিনি তাঁর কাজে মধ্য দিয়ে তুলে ধরেন।

আমাজন জঙ্গলে কাজ করতে গিয়েই একবার মাথায় পাগলামি চেপেছিল রোসোলির। তিনি একটি বিপজ্জনক স্ট্যান্ট করার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, একটি বিশাল অ্যানাকোন্ডা তাঁকে জীবন্ত গিলে ফেলবে। হলোও তা-ই। রোসোলিকে গ্রাস করতে শুরু করে একটি অ্যানাকোন্ডা। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যে রোসোলির মাথাটি যখন অ্যানাকোন্ডার মুখের ভেতরে চলে যায়, তখনই স্ট্যান্ট শেষ করার সংকেত দেন তিনি।

ঘটনাটি ২০১৪ সালে ঘটলেও সম্প্রতি এর বর্ণনা এবং অভিজ্ঞতার কথা ভাইরাল হয়েছে। স্ট্যান্টের শেষ মুহূর্তটির কথা স্মরণ করে রোসোলি বলেন, ‘আমার মনে আছে শুধু সাপটি হা করেছিল। এরপরই সবকিছু কালো হয়ে যায়।’

তবে গিলতে শুরু করার আগে অ্যানাকোন্ডাটি রোসোলিকে পেঁচিয়ে ধরেছিল এবং ধীরে ধীরে এটি রোসোলির শরীরটিকে চিপতে শুরু করে। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, রোসোলির শরীরে থাকা সুরক্ষা কোট ছিঁড়ে তাঁর শরীর বেরিয়ে আসছিল। অল্পের জন্য তাঁর পাঁজর গুঁড়ো হয়ে যায়নি সে যাত্রায়।

রোসোলি বলেন, ‘নিজের আবাসস্থল রক্ষায় এই সাপের শক্তি দেখানোই ছিল স্ট্যান্টের উদ্দেশ্য।’

পেঁচিয়ে ধরার সময়টির কথা বলতে গিয়ে রোসোলি আরও বলেন, ‘যতবার আপনি শ্বাস ছাড়বেন, আপনি কখনোই শ্বাস টানার জন্য সেই জায়গাটি আর ফেরত পাবেন না। আপনি আর শ্বাসই নিতে পারবেন না। আপনি একটু শ্বাস ছাড়বেন, সাপটি তখন আরেকটু চেপে ধরবে। ফলে শ্বাস টেনে নেওয়ার মতো ফুসফুসে আর কোনো স্থান থাকে না। এর ফলে ওই অবস্থায় আমি কাউকে সাহায্যের জন্যও ডাকতে পারিনি। এটা ছিল ভয়ংকর।’

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্যমতে, ওজন এবং দৈর্ঘ্যে বিচারে সবুজ অ্যানাকোন্ডা পৃথিবীর বৃহত্তম সাপ। এরা ৯ মিটার পর্যন্ত লম্বা এবং ২২৭ কেজি ওজনেরও হতে পারে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: