গাজায় ৪৯ দিন কেমন ছিলেন, চিঠিতে জানালেন ইসরায়েলি মা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:৪১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় জিম্মি অবস্থায় ৪৯ দিন ছিল ইসরায়েলি মা ড্যানিয়েল অ্যালোনি ও শিশু এমিলিয়া অ্যালোনি। গত ২৪ নভেম্বর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতিতে তারা নিজ পরিবারের কাছে ফিরে যায়। ফেরার আগে হিব্রু ভাষায় লেখা এক চিঠিতে অ্যালোনি তাঁর মেয়ের সঙ্গে সুন্দর আচরণের জন্য হামাসকে ধন্যবাদ জানান।

গত ২৭ নভেম্বর হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড সেই চিঠির আরবি অনুবাদ এবং সেই ইসরায়েলি মা ও মেয়ের ছবি প্রকাশ করে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ভাইরাল হয়।

হাতে লেখা চিঠিতে অ্যালোনি বলেন, ‘আমার মেয়ে এমিলিয়ার প্রতি আপনাদের অসাধারণ মানবিক আচরণের জন্য হৃদয়ের গভীর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সে (এমিলিয়া) আপনাদের সবাইকে ওর বন্ধু বলে মনে করে। সে আপনাদের শুধু বন্ধু নয়, বরং খুবই প্রিয় ও ভালো বলে জানে। যদিও শিশুদের বন্দি করা উচিত নয়, তবু আপনাদের এবং এই দীর্ঘ সময়ে অন্য যেসব সদয় মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে তাদের ধন্যবাদ। আমার মেয়ে গাজায় রানির মতো ছিল। এ দীর্ঘ যাত্রায় এমন কারো দেখা পাইনি যে তার প্রতি সদয় ছিলেন না। আপনারা তার সঙ্গে খুবই কোমল ও সহানুভূতিশীল ছিলেন।’

ড্যানিয়েল আরো লেখেন, ‘গাজায় কঠিন পরিস্থিতি ও মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হওয়ার পরও আমাদের সঙ্গে আপনাদের সদয় আচরণ আমি মনে রাখব। ইশ, এই পৃথিবীতে আমরা যদি ভালো বন্ধু হতে পারতাম! পরিচর্যাকারী হিসেবে আপনারা আমাদের পেছনে যে দীর্ঘ সময় ব্যয় করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের সবার স্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি। ...আপনাদের ও আপনাদের পরিবারের সন্তানদের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা ও ভালোবাসা রইল।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এ সময় হামাসের হাতে জিম্মি হয় প্রায় ২৪০ জন। যুদ্ধ শুরুর পর গত ৫৪ দিনে ইসরায়েলি হামলায় ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারী। গত ২৪ নভেম্বর থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চলছে। এ সময় হামাসের হাতে জিম্মি ও ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

 

https://twitter.com/KhalidMajzoub/status/1729443716887163021?ref_src=twsrc%5Etfw%7Ctwcamp%5Etweetembed%7Ctwterm%5E1729443716887163021%7Ctwgr%5Eb004192c07e50fe5ae91d5ad830cc1ae887117af%7Ctwcon%5Es1_&ref_url=https%3A%2F%2Ftwitframe.com%2Fshow%3Furl%3Dhttps%3A%2F%2Ftwitter.com%2FKhalidMajzoub%2Fstatus%2F1729443716887163021

 



সূত্র : টিআরটি ওয়ার্ল্ড



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: