বিশ্বখ্যাত অ্যারাবিকা কফির জন্মস্থান বলা হয় ইথিওপিয়াকে। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার ৬০ শতাংশই আসে কফি রপ্তানি করে। তবে ইথিওপিয়ায় ঘুরতে যাওয়া বিদেশি পর্যটকদের জন্য সম্প্রতি কফি বিষয়ক একটি বিধি-নিষেধ জারি হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ইথিওপিয়া থেকে ফেরার সময় পর্যটকেরা চাইলেও সঙ্গে কফি নিতে পারতেন না। শেষ পর্যন্ত আইনটি শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। খবর আরটি নিউজের।
৩০, সেপ্টেম্বর শনিবার আরটি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইথিওপিয়া থেকে ফেরার সময় এখন থেকে ২ কেজি পর্যন্ত কফি সঙ্গে নিতে পারবেন পর্যটকেরা। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় অবস্থিত রুশ দূতাবাসের বরাতে এই খবর জানানো হয়।
এর আগে গত সোমবার শুল্ক আইন পরিবর্তনের জের ধরে পর্যটকদের কফি বহনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
নিষেধাজ্ঞাটি শিথিল করার বিষয়ে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল রুশ দূতাবাস বলেছে, ‘ইথিওপিয়ার শুল্ক কর্তৃপক্ষ পূর্বের সিদ্ধান্তটি পরিষ্কার করেছে। তারা জানিয়েছেন, দেশটি থেকে ফেরার পথে বিমানযাত্রীদের একেক জন ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ২ কেজি পর্যন্ত কফি সঙ্গে নিতে পারবেন।’
বিষয়টি নিয়ে মস্কোতে ইথিওপিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, বিধি-নিষেধ দেশটির বাণিজ্যিক কফির বাজারে প্রভাব ফেলে না।
আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে কফি উৎপাদনে শীর্ষস্থান দখল করে আছে ইথিওপিয়া। আর বৈশ্বিকভাবে দেশটির অবস্থান পঞ্চম স্থানে। কফি উৎপাদনে শীর্ষ পাঁচে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাকি চারটি হলো-ব্রাজিল, ভিয়েতনাম, কলম্বিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।
সূত্র : আরটি নিউজ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: