ইউনেস্কোর ঐতিহ্যবাহী স্থানের নতুন তালিকা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:২২

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


বিশ্ব ঐতিহ্যের নতুন তালিকায় যেসব স্থান ও স্থাপনা জায়গা পেয়েছে সেগুলোর নাম প্রকাশ করেছে ইউনেস্কো। নতুন তালিকায় রয়েছে ইরান, ভারত, জার্মানি, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, রুয়ান্ডাসহ কয়েকটি দেশের বিখ্যাত সব জায়গা। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঐতিহ্যবাহী এসব স্থান সম্পর্কে।

রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাধারায় গড়ে ওঠা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তার শান্তিনিকেতন প্রকল্পের অন্তর্গত। ২০২৩ সালের মে মাসে ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ইউনেস্কোর উপদেষ্টা সংগঠন ইকোমস এ সুপারিশ করে। এখন তা বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় জায়গা পেয়েছে।

বেলজিয়ামের টাইন কট কবরস্থান

বেলজিয়ামের টাইন কট কমনওয়েলথ কবরস্থান উঠে এসেছে এবারের তালিকায়। ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ পর্যন্ত চলা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈন্যদের মরদেহ এখানে শায়িত রয়েছে।

রুয়ান্ডার মুরাম্বি, নিয়ামাটা, গিসোজি ও বিসেসেরোর স্মারক

১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডার টুটসি গোষ্ঠীর মানুষদের গণহত্যা করা হয়। মুরাম্বি, নিয়ামাটা, গিসোজি ও বিসেসেরোর স্মারককে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিচ্ছে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে। সেই সময় রুয়ান্ডার প্রায় আট লাখ টুটসিকে মারা হয়েছিল। শুধু গিসোজিতেই মারা যান আড়াই লাখ টুটসি।

ভারতে হোয়সালা যুগের স্মৃতি

ভারতের কর্ণাটকে এখনও রয়েছে বহু মন্দির যা স্মরণ করায় সেই অঞ্চলের হোয়সালা বা হৈসল যুগের কথা। হৈসল রাজারা প্রায় দেড় হাজার মন্দির বানিয়েছিলেন, যার মধ্যে মাত্র ১০০টি এখনও রয়েছে। ছবিতে সেই সময়ের চেন্নাকেশব মন্দির।

ডেনমার্কের ভাইকিং যুগের রিং দুর্গ

ডেনমার্কে আংটি বা রিংয়ের আদলে গড়ে তোলা পাঁচটি দুর্গ ভাইকিং যুগের। ক্ষমতার প্রতীক ও নিরাপত্তা দিতে সক্ষম এসব দুর্গ তৈরি করা হয়েছিল দশম শতাব্দীতে।

জার্মানির এরফুর্ট শহরের ওল্ড সিনাগগ

জার্মানির শহর এরফুর্টে মধ্য যুগে বাস করতেন বহু ইহুদি। সেই সময়ের কথা এখনো মনে পড়ে শহরটির বহু স্মারক বা ভবন দেখলে। ১১০০ শতাব্দীতে সেখানে একটি সিনাগগ স্থাপন করা হয়। এই সিনাগগটি বর্তমানে ইউরোপের সবচেয়ে পুরোনো, বড় ও সুনিপুণভাবে সংরক্ষিত সিনাগগের একটি।

দক্ষিণ কোরিয়ায় কবরের পাহাড়

৪২ থেকে ৫৩২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বর্তমান দক্ষিণ কোরিয়ার এ অংশটি গায়া তুমুলি রাজ্য নামে পরিচিত ছিল। সে সময় এখানেই মৃতদের কবর দেওয়া হতো।

চীনের চায়ের জঙ্গল

চা ছাড়া চীন? অসম্ভব! তাই তো ইউনেস্কো এবারের বিশ্ব ঐতিহে্যর তালিকায় যুক্ত করেছে চীনের নিংমাই পাহাড়ি অঞ্চল। সেখানে কয়েক হাজার বছর ধরে বিশেষ পরিবেশে ও স্থানীয় লোকজ আঙ্গিকে নানা ধরনের চায়ের বাগান গড়ে উঠেছে।

রাশিয়ায় কাজান শহরের বিশ্ববিদ্যালয়

রাশিয়ার কাজান সিটি অ্যাস্ট্রনমিক্যাল অবজার্ভেটারি তৈরি হয় ১৮৩৭ সালে। পুরোনো জ্যোতির্বিদ্যা থেকে বর্তমানের মহাকাশ গবেষণার যাত্রা যে কত দীর্ঘ, তা এখানে আসলেই বোঝা যাবে। ইউনেস্কোর তালিকায় উঠে এসেছে শুধু এই অবজারভেটরিই নয়, কাজান শহরের পুরোনো অংশও।

ইরানের কারাভান সরাই

হাজার বছর পুরোনো পথের গা ঘেঁষে সরাইখানা, যার নাম কারাভান। এমন বেশ কয়েকটি সরাইখানা আছে ইরানে, যা তৈরি করতে লেগেছিল কয়েকশ বছর। এই সরাইখানাগুলোতে আশ্রয় তো নেওয়া যেতোই, সাথে মিলতো খাবার, পানীয় ও সঙ্গী।

 

সূত্র: ডয়েচে ভেলে



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: