ক্রেতার পাঠানো চুক্তিপত্রে ‘থাম্বস আপ’ ইমোজি দেন বিক্রেতা

‘থাম্বস আপ’ ইমোজি নিয়ে বিভ্রান্তি : ৬৬ লাখ টাকা জরিমানা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১০ জুলাই ২০২৩ ১৯:১৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

 

ইন্টারনেটে নানা অভিব্যক্তি প্রকাশে ইমোজি ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে এই ইমোজি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কানাডার এক খামারি। ঘটনা ২০২১ সালের। এক ক্রেতা খাদ্যশস্য কিনতে কানাডার সাসকাচুয়ান প্রদেশের কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সুইফট কারেন্টের দ্বারস্থ হন। শস্য কেনার জন্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একটি খসড়া চুক্তিও করেন তিনি। এরপর অনলাইনে ওই চুক্তিপত্রের একটি ছবি পাঠান সুইফট কারেন্টের মালিক ক্রিস আচটারের কাছে। আচটার ওই চুক্তিপত্র পেয়ে জবাবে শুধু একটি “থাম্বস আপ” (বৃদ্ধাঙ্গুল উঁচিয়ে দেখানো) ইমোজি দেন।

বিপত্তির শুরু সেখান থেকে। আচটারের দাবি, থাম্বস আপ ইমোজি দিয়ে তিনি শুধু বুঝিয়েছিলেন, ওই চুক্তিপত্র হাতে পেয়েছেন। আর ইমোজি দেখে ওই ক্রেতা নাকি ভেবেছিলেন, আচটার ওই চুক্তিতে রাজি। সেই ভাবনা থেকে সুইফট কারেন্টের কাছ থেকে খাদ্যশস্য পাওয়ার আশায় ছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক মাস গড়িয়ে গেলেও শস্য পাননি তিনি। এরপরই তিনি দ্বারস্থ হন আদালতের।

আদালতে বাদানুবাদ শেষে রায় যায় ক্রেতার পক্ষেই। রায়ে খাদ্যশস্য না পাওয়ার ক্ষতিপূরণ বাবদ সুইফট কারেন্টের মালিক আচটারকে ৬১ হাজার ৭৮৪ ডলার জরিমানা দিতে বলা হয়, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার অর্থমূল্য দাঁড়ায় ৬৬ লাখ টাকার বেশি।

আদালতে দুই পক্ষের বিবাদ মেটানোর দায়িত্বে ছিলেন বিচারক টি জে কেন। রায়ে তিনি বলেন, “আগেও চুক্তি অনুমোদনের জন্য আচটার থাম্বস আপ ইমোজি ব্যবহার করেছেন। তাই এবারও তিনি একই উদ্দেশে এই ইমোজি দিয়েছিলেন বলেই ধরে নেওয়া হয়েছে। চুক্তিতে যে স্বাক্ষর করার দরকার ছিল, তা আচটার ও তার মুঠোফোন থেকে পাঠানো থাম্বস আপ ইমোজির মাধ্যমে পূরণ হয়েছে।”

 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: