যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে জাতিগত কোটা বাতিল

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১ জুলাই ২০২৩ ০২:২০

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


যুক্তরাষ্ট্রের কলেজে জাতি বা বর্ণের ভিত্তিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এমন রায়ের পর হতাশা প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। অপরদিকে খুশি ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রধান বিাচারপতিসহ ছয়জন বিচারপতি যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতি ও বর্ণের ভিত্তিতে সংরক্ষণ বাতিলের পক্ষে ছিলেন। তিনজন বিপক্ষে ছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতিদের সিদ্ধান্ত হলো, এই কোটা বিভেদ তৈরি করছে। বহুত্ববাদের নামে কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্প্যানিক ও অন্য সংখ্যালঘুদের এই সংরক্ষণ দেয়া উচিত নয়। খবর রয়টার্সের

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরনো কলেজ হার্ভার্ড ও সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে রায় দিয়ে প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস বলেন, 'শিক্ষার্থীদের জাতি হিসাবে নয়, একজন মানুষ ও তার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যাচাই করতে হবে।'

বাইডেন বলেছেন, 'এই রায়ের ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংরক্ষণের সুযোগ বন্ধ হয়ে গেল। গত ৪৫ বছর ধরে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি র এই বিষয়ে স্বাধীনতা ছিল। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যত বেশি জাতিগত বিভিন্নতা থাকবে, ততই সে শক্তিশালী হবে।'

বাইডেন বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে এখনো বৈষম্য আছে। এই রায়ের ফলে তা শেষ হয়ে যাবে না। বহুত্ববাদ অ্যামেরিকার শক্তি। এই রায়কে আমরা শেষ কথা বলে এখানেই থেমে যেতে পারি না।'

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা টুইট করে বলেছেন, 'প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢোকার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এই সংরক্ষণ তাদের সেই সুযোগ দিচ্ছিল। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমাদের সেই চেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে।'

অপরদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে, 'এটা অসাধারণ রায়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দিনটি বিশেষ দিন হিসাবে চিহ্নিত হবে।' 

ট্রাম্পের সময় ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকা মাইক পেন্স বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের জাতির ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য থাকতে পারে না।'

ডেমোক্র্যাট নেতারা বলেছেন, জাতিগত ন্যায়ের পথে এই রায় বিরাট একটা ধাক্কা।

 

সুত্র ঃ রয়টার্স



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: