
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ফেডারেল সরকারের ঋণ প্রথমবারের মতো ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যা ২০২০ সালের অনুমানের চেয়ে আরও আগে ঘটেছে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি ছিল ২৯.১৮ ট্রিলিয়ন ডলার। আর এর ভিত্তিতে হিসাব হলে, ফেডারেল সরকারের ঋণ দেশের জিডিপি-র ১২৬.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
জাতীয় সংসদের বাজেট কার্যালয়ের পূর্বাভাসে সুদসহ ট্রাম্প সরকারের ‘বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ আগামী ১০ বছরে আর্থিক ঘাটতি আরও ৪.১ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দেবে।
৩৭ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ মানে, প্রত্যেক নাগরিকের মাথাপিছু ঋণ ১ লাখ ৮ হাজার ডলার। এ উপলক্ষ্যে, ১২ আগস্ট ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান পাওয়েলকে সুদ কমিয়ে দিতে তাগিদ দিয়েছেন ট্রাম্প।
সরকারের অতুলনীয় ঋণ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ঋণের পরিমাণ ইতিহাসের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। এখন সরকারের আর্থিক অবস্থা অনেক নাজুক। এতে ডলারের বৈশ্বিক প্রধান সঞ্চয় মুদ্রার অবস্থানও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে।
যদিও ট্রাম্প সরকারের শুল্কব্যবস্থা আগামী ১০ বছরে প্রায় ২.২ ট্রিলিয়ন ডলার আয় সৃষ্টি করবে, তবে উচ্চ শুল্কনীতির কারণে মুদ্রাস্ফীতি আরও গুরুতর এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি ও সরবরাহ চেইনের ওপর ধারাবাহিক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: