
স্থানীয় সময় বুধবার (৬ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টায় শুল্ক আরোপের বিষয়টি নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোস্যালে তিনি লেখেন, ‘রাত ১২টা! এখন থেকে আমেরিকা শত শত কোটি ডলারের শুল্ক পাবে!’ খবর বিবিসির।
এই নীতির আওতায় ভারতকে ৫০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হতে হয়েছে। যা আগামী ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। শর্ত হলো, ভারতকে অবশ্যই রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। এই পদক্ষেপকে নয়াদিল্লি ‘অন্যায্য, অযৌক্তিক ও অনুচিত’ বলে মন্তব্য করেছে।
অন্যদিকে, ট্রাম্প বিদেশে তৈরি কম্পিউটার চিপের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যাতে প্রযুক্তি সংস্থাগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হয়। এই হুমকির পর অ্যাপল যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।
এই নতুন শুল্ক নীতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রপ্তানিনির্ভর দেশগুলো। লাওস ও মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো কিছু দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে কম শুল্কের সুবিধা পেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ওয়াশিংটনের সঙ্গে একটি কাঠামো চুক্তি করেছে, যেখানে তাদের পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক মেনে নেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এই নতুন শুল্ক নীতি কয়েক মাসের বিশৃঙ্খলা তৈরি করলেও পরবর্তীতে কিছুটা স্থিতিশীলতা আনতে পারে। তবে আর্থিক বিশ্লেষক ফারহান বাদামি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যা অন্যান্য দেশের জন্য একটি বার্তা হতে পারে।
এছাড়া কানাডার ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনা চলছে, তাই তাদের শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। নতুন এই শুল্ক নীতির আওতায় বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করা পণ্যেও ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: