ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্র করেন ওবামা, অভিযোগ তুলসীর

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ জুলাই ২০২৫ ১৯:২০

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তৎকালীন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচার করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড।

তিনি এই ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের পর তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল।

শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

তুলসি গ্যাবার্ড বলেছেন, ওবামা এবং তার প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‌‘একটি দীর্ঘমেয়াদী অভ্যুত্থানের ভিত্তি তৈরি করেছিলেন’ এবং ‘ভুয়া গোয়েন্দা তথ্য তৈরি করে’ রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলেছিলেন।

তিনি দাবি করেছেন, এতে একটি বিতর্কিত নথি ব্যবহার করা হয়েছিল, যা ব্রিটিশ গোয়েন্দা বিশ্লেষক ক্রিস্টোফার স্টিল তৈরি করেছিলেন এবং যেটিকে তারা আগেই অবিশ্বস্ত হিসেবে জানতেন।

তুলসি গ্যাবার্ড বলেছেন, ‘আমরা আজ যে তথ্য প্রকাশ করছি, তা স্পষ্ট করে দেখায় যে ২০১৬ সালে আমাদের দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দ্বারা রাষ্ট্রদ্রোহমূলক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তাদের লক্ষ্য ছিল আমেরিকান জনগণের ইচ্ছাকে অপমান করে প্রেসিডেন্টকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রে জড়িত প্রত্যেককে তদন্ত করে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগে বিচার করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে। দেশের গণতন্ত্র, জনগণের বিশ্বাস এবং আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ এর উপর নির্ভর করছে।’

তুলসি গ্যাবার্ড জানিয়েছেন, তিনি তার দাবির পক্ষে নথি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে জমা দিচ্ছেন। এই নথির মধ্যে রয়েছে ওবামা প্রশাসনের সাইবার হুমকি সম্পর্কিত আংশিক গোপন একটি গোয়েন্দা মূল্যায়ন এবং তৎকালীন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক জেমস ক্ল্যাপারের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত কিছু পূর্বের গোপন মেমো।

গ্যাবার্ডের অভিযোগে যাদের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে আছেন তৎকালীন সিআইএ পরিচালক জন ব্রেনান, তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস, তৎকালীন এফবিআই উপপরিচালক অ্যান্ড্রু ম্যাকাবে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

এই অভিযোগ তোলার মাধ্যমে রাশিয়া হস্তক্ষেপ ইস্যুতে নতুন করে বিতর্ক শুরু হলো। উল্লেখযোগ্য যে, রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে হওয়া তদন্তে বলা হয়েছিল, রাশিয়া ‘বিস্তৃত এবং পদ্ধতিগতভাবে’ ২০১৬ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল, তবে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের সাথে রাশিয়ার কোনো যোগসাজশ পাওয়া যায়নি।

তুলসি গ্যাবার্ডের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ ট্রাম্প প্রশাসনের সময় সবচেয়ে বিতর্কিত নিয়োগগুলোর মধ্যে একটি ছিল। তার গোয়েন্দা বিষয়ে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি ইতিবাচক মন্তব্য করার কারণে এই নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: