
মারাত্মক ভূমিকম্পে কার্যত মৃত্যুপুরী মিয়ানমার। নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে এক হাজার। প্রচুর মানুষ আহত হয়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারকে সাহায্য প্রদান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসে মিয়ানমারের পুনরুদ্ধারের জন্য সংস্থাগুলির তরফে সহায়তা দেয়ার বিষয়টি জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা সাহায্য করব’।
একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, পুনরুদ্ধার ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করার জন্য থাইল্যান্ডেও দল পাঠানো হয়েছে, যেটি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর বিশ্ব উন্নয়নে কাজ করা সেবামূলক এই সংস্থা ইউএসএইড-এর অনুদানে একাধিক কাটছাঁট করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একাধিক দেশের অনুদানও বাতিল করা হয়েছে। সেই বাতিলের তালিকায় ছিল মিয়ানমারও। সে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য বড় রকমের অনুদান আসত ইউএসএইডথেকে। প্রত্যক্ষ অঞ্চলের শিশুদের পড়াশোনা ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কাজে লাগত সেই টাকা। কিন্তু আপাতত এই বিতর্ক দূরে সরিয়ে ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত অঞ্চলে টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোয়াটস হাউস।
শুক্রবার বিকেলে মধ্য মিয়ানমারের সাগাইং শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। তারপরে ৬.৪ মাত্রার একটি আফটারশক হয়। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কাছেও কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে মিয়ানমার জুড়ে একাধিক বিল্ডিং, ব্রিজ ভেঙ্গে পড়েছে, নয়তো ফাটল ধরেছে। এমনকি ব্যাংককের একটি ৩০ তলা গগনচুম্বী ভবনও ভেঙে পড়েছে। এএফপি-র উদ্ধৃতি অনুসারে, ভূমিকম্পের ব্যাপকতা দেখে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান বলেছেন, ‘আমি যে কোনো দেশ বা সংস্থাকে মিয়ানমারকে সাহায্য করতে আমন্ত্রণ জানাতে চাই। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর দেশকে পুনরুদ্ধারে বৈদেশিক সাহায্যের জন্য সব পথ খুলে দেয়া হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ভারত, ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সকলেই মিয়ানমারকে সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে তারা ট্রমা ইনজুরি সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য দুবাইতে তার লজিস্টিক হাবকে একত্রিত করছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: