
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওয়াশিংটন ও দিল্লির মধ্যে শুল্ক আলোচনা নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন এবং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘খুবই বুদ্ধিমান’ ও ‘স্মার্ট’ ব্যক্তি। তবে তিনি ভারতের ওপর থেকে শুল্ক কমাতে খুব একটা আগ্রহী নন। অন্তত তাঁর সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার নিউ জার্সির ফেডারেল অ্যাটর্নির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময়, এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মোদির প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি মোদিকে ‘অত্যন্ত বুদ্ধিমান’ ও ‘অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্প্রতি এখানে এসেছিলেন এবং আমরা সব সময়ই খুব ভালো বন্ধু। ভারত বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপকারী দেশ। এটা খুবই কঠিন। তিনি (মোদি) একজন খুবই বুদ্ধিমান ব্যক্তি এবং আসলে আমার খুব ভালো বন্ধু এবং আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি মনে করি, ভারত ও আমাদের দেশের মধ্যে খুব, খুব ভালোভাবে কাজ হবে।’
ট্রাম্পের এই বিবৃতি এমন এক দিনে এল যখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা সমস্ত আমদানি করা সব গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছেন। এই শুল্ক, আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া প্রায় অর্ধেক গাড়ির দামই বাড়বে।
বিভিন্ন সময়ে ট্রাম্প ভারতের উচ্চ শুল্কের কথা তুলে ধরেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে রিসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ বা পারস্পরিক শুল্ক ঘোষণার বিষয়টিও ছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা শিগগিরই পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করব—তারা আমাদের কাছ থেকে নেয়, আমরা তাদের কাছ থেকে নেব। ভারত বা চীনের মতো কোনো কোম্পানি বা দেশ যা নেয়, আমরা ন্যায্য হতে চাই, তাই পারস্পরিক।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটন ডিসি সফর করেন এবং ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই সফর অনুষ্ঠিত হয়।
সফরকালে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই ন্যায্য, জাতীয় নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে এমন প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক গভীর করার অঙ্গীকার করে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘মিশন ৫০০’ নামে একটি নতুন দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেন, যার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে মোট দ্বিমুখী পণ্য ও পরিষেবা বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: