সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা করবে না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেন, ‘তাদের একই মান অর্জন করতে হবে। তাই আমি এটি সহজ করব না। আমি মনে করি সামরিক সমন্বয়ের সক্ষমতার বিষয়টি প্রমাণে তারা সব করেছে। কিন্তু এখানে সবকিছু রয়েছে। তাদের সরকার ব্যবস্থা কী নিরাপদ? এটি কী দুর্নীতিমুক্ত? তারা কী সবার ও ন্যাটোর অন্যান্য দেশের সমান মান অর্জন করতে পেরেছে? আমি মনে করি তারা পারবে। কিন্তু এটি এমনি এমনি হবে না।’
১৭ জুন, শনিবার ওয়াশিংটনের কাছে সামরিক ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। ন্যাটো নেতৃবৃন্দ আগামী মাসে লিথুনিয়ায় বৈঠক করতে যাচ্ছেন। এ প্রেক্ষাপটে বাইডেন এ মন্তব্য করলেন।
সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলবে ইউক্রেন— এমন অজুহাতে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে হামলার নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ হামলার পরপরই ইউক্রেন দাবি জানায়, তাদের যেন দ্রুত ন্যাটোর সদস্য করে নেয়া হয়। তবে তারা যে সহজেই এ সামরিক জোটটিতে যোগ দিতে পারবে না সেটি জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগে কিয়েভকে সবক্ষেত্রে ন্যাটো দেশগুলোর সমান মান অর্জন করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে ন্যাটো জোটের প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে জোটনেতারা লিথুনিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কির সঙ্গে ন্যাটো-ইউক্রেন কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশন আয়োজন করতে যাচ্ছেন।
এই বৈঠক নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনার জন্য কিয়েভকে সমান সুযোগ তৈরি করে দেবে। তবে কিয়েভের সদস্যপদ পাওয়া নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
ন্যাটোর পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো ইউক্রেনের সদস্যপদ পেতে একটি ভালো রোডম্যাপের জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মতো মিত্রদেশগুলো কিয়েভের যোগদানের বিষয়ে ২০১৪ সালের অস্পষ্ট অঙ্গীকারের বাইরে যেতে ইচ্ছুক নয়।
এছাড়া বেলারুশে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন নিয়েও কথা বলেছেন বাইডেন। তার দাবি, এটি পুতিনের একটি ‘খামখেয়ালি সিদ্ধান্ত।’
সূত্র: সিএনএন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: