যুক্তরাষ্ট্রে ৬০,০০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক সৌদির ক্রাউন প্রিন্স

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৫ জানুয়ারী ২০২৫ ১৯:৫০

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চার বছর ক্ষমতার মেয়াদে সেখানে বিস্তৃতক্ষেত্রে এবং বাণিজ্যে ৬০,০০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব। ট্রাম্পকে এরই মধ্যে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার সকালেই এ খবর প্রচার করেছে।

তার ওপর ভিত্তি করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দুই নেতা টেলিফোনে কথা বলেছেন। এ সময় ক্রাউন প্রিন্স বলেছেন- তিনি আশা করেন ট্রাম্প প্রশাসন আগে দেখা যায়নি এমন অর্থনৈতিক সুযোগ ও সমৃদ্ধি সৃষ্টি করতে সংস্কার করবেন। তবে ৬০ হাজার কোটি ডলারের সূত্র কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি মোহাম্মদ বিন সালমান। বলেননি এই অর্থ সরকারি নাকি বেসরকারি খাত থেকে আসবে। কীভাবে সেই অর্থ বিনিয়োগ হবে তাও বিস্তারিত বলেননি তিনি।

ক্রাউন প্রিন্স যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বলেছেন, যদি আরও সুযোগ আসে তাহলে এই বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। উল্লেখ্য, ক্ষমতার প্রথম মেয়াদে সৌদি আরব সহ উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষ করে ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল দহরম মহরম। সৌদি আরব সফরে এসে সেই সম্পর্ককে আরও জোরালো করেন দুই নেতা।

ট্রাম্পকে অভূতপূর্ব সংবর্ধনা দেয়া হয় সৌদি আরবে। তার মধ্যে তিনি সোর্ড ড্যান্স (তরবারি হাতে বিশেষ নাচ) দেন। বিমান বাহিনীর জেট বিমান ফ্লাইপাস্ট দেয় তাকে। ট্রাম্পের জামাই এবং সাবেক সহযোগী জারেড কুশনারের গঠন করা একটি প্রতিষ্ঠান এই দেশে বিনিয়োগ করেছে দুইশত কোটি ডলার। ওদিকে গত সোমবার শপথ নেয়ার পর ট্রাম্প বলেছেন, রিয়াদ যদি তার প্রথম মেয়াদের মতো করে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ হাজার কোটি ডলারের পণ্য কিনতে সম্মত হয়, তাহলে তিনি প্রথম কোনো বিদেশ সফর হিসেবে সৌদি আরব যাওয়ার কথা বিবেচনা করবেন।

২০১৭ সালে তিনি সৌদি আরব সফর করেছিলেন। সেদিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন- গত টার্মে আমি সৌদি আরবে গিয়েছিলাম। কারণ, তারা আমাদের ৪৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্য কিনতে রাজি হয়েছিল। আমি বলেছি, আবারো আমি এটা করবো। কিন্তু তাদেরকে পণ্য কিনতে হবে। তা কিনতে রাজি হতে হবে।

প্রথম ক্ষমতার মেয়াদে সৌদি আরবকে প্রথমেই আমলে নিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি তাদেরকে ওয়াশিংটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ও নিরাপদ অংশীদার হিসেবে দীর্ঘদিন পেয়েছেন। কিন্তু হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্পের বিদায়ের পর রিয়াদ এবং ট্রাম্প টিমের মধ্যেও সম্পর্ক ছিল। বিশেষ করে বিনিয়োগ, নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের দিক দিয়ে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: